এস এম খলিলুর রহমান,খুলনা বিভাগীয় ব্যুরো চীফঃ
১২ আগস্ট ২০২১ বৃহস্পতিবার সকালে যশোরের বাঘারপাড়া থেকে ৪ জন ডাকাতকে আটক করেছে বাঘারপাড়া থানা পুলিশ। আটককৃতরা হলেন, (১) নড়াইল নড়াগাতি থানার নয়নপুর গ্রামের মৃত মুক্তার আলী ছেলে বরখাস্ত পুলিশ সদস্য মিজানুর রহমান (৪০), শার্শা উপজেলার সাতাই গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে গোগা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য কামরুজ্জামান (৩৫), একই গ্রামের নাজির উদ্দিনের ছেলে দেলোয়ার হোসেন (৪২), সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মাসখোলা গ্রামের জোমাদ আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন (৩২),। ডাকাত চক্রের বাকি ৪ জন সদস্য পালিয়ে গেছে বলে জানা যায়।
ডুমুরিয়া থেকে ডাকাত চক্র মাইক্রো বাস ছিনিয়ে নিয়ে বাঘারপাড়ায় আটক হয়।
ঘটনায় টয়োটা স্কয়ার ঢাকা মেট্রো চ- ১৯-৯৬৯৪ মডেলের গাড়ি উদ্ধার করা হয়েছে। মাইক্রো চালক আশরাফুজ্জামান জানান, গাড়ি ঢাকা থেকে সাতক্ষীরা যাওয়ার উদ্দেশ্য ভোরে খুলনা জিরো পয়েন্ট হয়ে ডুমুরিয়ার গুটুদিয়া পৌঁছালে ডাকাত দলের কবলে পড়েন। তাৎক্ষনিক ভাবে ডাকাত দলের সদস্যরা তাদের গাড়ি দিয়ে ইকবালের গাড়ির গতিরোধ করে ব্যারিকেড দেয়। গাড়িতে থাকা ইকবাল ও চালক আশরাফুজ্জামান তারা (ডিবি) পুলিশের পরিচয় দিয়ে তাদেরকে হাত মুখ বেঁধে ফেলে। তাৎক্ষনিক ভাবে ডাকাত দলের সদস্যরা গাড়ির নিয়ন্ত্রন নেয়। পরে ২ জনকে হাত মুখ বাঁধা অবস্থায় বাঘারপাড়া উপজেলার সাইটখালি গ্রামের এক ফাঁকা জায়গায় ফেলে দেয়। সেখান থেকে ২ জনকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় জিপিএসের মাধ্যমে গাড়ির অবস্থান শনাক্ত করে চাড়াভিটা এলাকায়। পরবর্তীতে
চাড়াভিটা এলাকার লোকজন গাড়ি দেখে থামানোর চেষ্টা করলে তারা উল্টো পথে চলে যায়। পরে ডাকাত দলের সদস্যরা শুকদেবনগর গ্রামে পৌছে গাড়ি রেখে পালানোর চেষ্টা করে। গ্রামের উৎসুক জনতা তাদেরকে চোর ভেবে মারধর করে। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ঘটনা জানতে পেরে ৪ জন ডাকাতকে আটক করে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের থানা হেফাজতে নেওয়া হয়। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বাঘারপাড়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফিরোজ উদ্দিন আমাদের এ প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন, আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। বাকি সব কর্মকাণ্ড শেষ হলে আপনাদের জানিয়ে দেওয়া হবে। এ ব্যাপারে বাঘারপাড়া থানা পরিদর্শন করেন যশোরের ডিএসবির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম, অতিরিক্ত পুলিশ (অপরাধ ও প্রশাসন)
সাইফুল ইসলামসহ গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পুলিশের অফিসার ইনচার্জ রুপম কুমার সরকার।