

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি:
ময়মনসিংহের নান্দাইলে বীরমুক্তিযোদ্ধা গাজী আ. সালাম ভূইয়া (৮২) বীর প্রতীকের জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) দুপুর আড়াইটায় চন্ডিপাশা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মরহুমের নামাজের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে মরহুমকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর একটি চৈাকস দল। জানাজা নামাজে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় এমপি আনোয়ারুল আবেদীন খান তুহিন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হাসান মাহমুদ জুয়েল, পৌরমেয়র রফিক উদ্দিন ভূইঞাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ নানা শ্রেণী-পেশার হাজার হাজার মানুষ অংশ নেন। এসময় নেতৃবৃন্দ এই বীরপ্রতীকের কর্মময় বর্ণাঢ্য জীবনের উপর আলোকপাত করেন।
জানাজা শেষে নান্দাইল পৌরসদর চারিআনি পাড়া মহল্লায় পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর লাশ দাফন করা হয। তাঁর মৃত্যুতে নান্দাইলের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আবেদীন খান তুহিন, উপজেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ বিভিন্ন মহল গভীর শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।
বুধবার (১১ আগস্ট) সন্ধ্যায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এই বীরপ্রতীকের মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক পুত্র ও এক কন্যা রেখে গেছেন।
মুক্তিযুদ্ধকালীন জামালপুরের বকশীগঞ্জ সীমান্ত এলাকা কামালপুরে মেজর তাহের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে যে সুইসাইড স্কোয়াডগুলো গঠন করেন, তার মধ্যে উল্কা স্কোয়াডের দায়িত্বে ছিলেন এবং বেশ কয়েকটি যুদ্ধে তিনি সাহসিকতার সাথে অংশ নেন গাজী আবদুস সালাম ভূঁইয়া বীরপ্রতীক। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় নৌবাহিনীতে চাকরি করতেন। সেই সময় চাকরি ছেড়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। তিনি ১১নং সেক্টরে কোম্পানি কমান্ডার ছিলেন।
তিনি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের বেশ কয়েকবারের নির্বাচিত সাবেক কমান্ডার, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও সদস্য ছাড়াও একাধিক সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন।
১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ ও গৌরবোজ্জল অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক তিনি ‘বীর প্রতীক’ উপাধিতে ভূষিত হন।