আবুল আতা মামুন:
আজ ১৩ আগস্ট ২০২১ইং, শুক্রবার, সকাল ১০টায় আউটার স্টেডিয়াম, পল্টন ময়দানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টে নিহত সকল শহীদদের স্মরণে, ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণ এর উদ্যোগে ১০০০ (এক হাজার) অসহায় ও দুঃস্থ পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালী উপস্থিত ছিলেন-বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল। সভাপতিত্ব করেন-ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, সঞ্চালনা করেন-ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন-৪৬ বছর আগে এই দিনে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করেছিল ক্ষমতালোভী নরপিশাচ কুচক্রী মহল। বাঙালির মুক্তির মহানয়ক স্বাধীনতার সংগ্রাম শেষে যখন ক্ষত-বিক্ষত অবস্থা থেকে দেশটির পুনর্গঠন ও অর্থনৈতিক মুক্তির নিশ্চিত করতে চেয়েছিলেন তখনই ঘটানো হয়েছিল ইতিহাসের নির্মম এ জঘণ্য হত্যাযজ্ঞ। এই হত্যাকা-ের সাথে খুনি জিয়া সম্পৃক্ততা রয়েছে। তাই আমরা খুনি জিয়ার মরোনাত্তোর বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
তিনি তরুণ প্রজন্মকে কুচক্রী মহল সম্পর্কে বলেন- এই নরপিশাচ কুচক্রী মহল কারা; আমাদের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে তা জানতে হবে। এই নরপিশাচ কুচক্রী মহল হলো ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত শক্তি, যারা পাকিস্তানি ভাবধারায় পোষণ করতো। রাজাকার, আলবদর, আল শামস বাহিনী। বাংলাদেশ ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হোক তা তারা মেনে নিতে পারেনি।
এছাড়াও আন্তর্জাতিকভাবে যেসকল রাষ্ট্র বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও স্বাধীনতা পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন মেনে নিতে পারেনি। দক্ষিণ এশিয়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মত জাতীয়তাবাদী নেতার উত্থান ও বিশ্বনেতা হয়ে ওঠা তারা মেনে নিতে পারেনি। মূলত; দেশীয় ও আন্তর্জাতিক এই দু’য়ে মিলেই কুচক্রী মহল। এই পরাজিত শক্তি এখনও সমগ্র বাংলাদেশের ক্ষতি করার জন্য সজাগ রয়েছে। এদের থেকে, এদের চিন্তাধারা থেকে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বাংলাদেশের উন্নয়নের স্বার্থে সজাগ থাকতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন- করোনার এই মহা সংকটে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় করোনার শুরু থেকে যুবলীগ সারাদেশে কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিটি দুর্যোগে যুবলীগ সবসময় মানুষের পাশে ছিলো এবং থাকবে। বিএনপি-জামাত এর উদ্দ্যেশে তিনি বলেন, তারা সব সময়ে সমালোচনায় ব্যস্ত, করোনার এই মহা সংকটে অসহায় মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে সমালোচনায় ব্যস্ত সময় পার করছে। এটাই বিএনপি-জামাতের চরিত্র।
এসময় উপস্থিত ছিলেন-যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এড. মামুনুর রশীদ, সুভাষ চন্দ্র হাওলাদার, সাংগঠনিক সম্পাদক জহির উদ্দিন খসরু, সোহেল পারভেজ, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মোঃ সাদ্দাম হোসেন পাভেল, তথ্য ও যোগাযোগ সম্পাদক মোঃ শামছুল আলম অনিক, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক এড. হেমায়েত উদ্দিন মোল্লা, উপ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক রাশেদুল হাসান সুপ্ত, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত, ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সহ-সভাপতি আহম্মদ উল্লাহ মধু, আনোয়ার ইকবাল সান্টু, নাজমুল হোসেন টুটুল, মাহবুবুর রহমান পলাশ, মুরসালিন আহমেদ, যুগ্ম-সম্পাদক জাফর আহমেদ রানা, মোঃ ওমর ফারুক, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বকুল, গাজী সারোয়ার হোসেন বাবু, মাকসুদুর রহমান, কাজী ইব্রাহিম খলিল মারুফ, প্রচার সম্পাদক এরমান হক বাবু, দপ্তর সম্পাদক এমদাদুল হক এমদাদ, অর্থ সম্পাদক ফিরোজ উদ্দিন সায়মন, আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. শাহনাজ পারভীন হীরা, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক ওমর শরীফ পলাশ, উপ-দপ্তর সম্পাদক খন্দকার আরিফ-উজ-জামান, উপ-শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও পাঠাগার সম্পাদক আলতাফ হোসেন, উপ-ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক শাহজালাল রিপন, উপ-কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম সরকার, সহ-সম্পাদক সাইদ হারুনুর রশীদ, হাবিবুর রহমান পারভেজ, হাসান শিশির, সদস্য আমিনুল ইসলাম মানিক, মনির বিশ্বাস, এম আর মিঠু, গোলাম মোস্তফা, এ আর বাচ্চুসহ কেন্দ্রীয়, মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড নেতৃবৃন্দ।