★বঙ্গমাতা
আজও ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলে ছড়িয়ে তোমার আদর একাকার,
হার গৌর শিরা-উপশিরা রক্তকণিকা মাড়িয়ে অস্তিত্বে মিলেমিশে নিরন্তর।
পরিপাটি বেসাতি আলোকময় ঘর- উন্নত মম বসতি,
মাছরাঙ্গার ডানাঝাপটানো, পানকৌড়ির অবাধ ডুবসাঁতার,
বাবুইপাখির মনন শিল্পের শৈল্পিক স্বপ্ন বুনন।
উড়নমেঘ দক্ষিণা হাওয়ায় “জয়বাংলা’ খেলে যায় পালে,
এ আমার পিতৃপুরুষের “স্বপ্ন সোনার বাংলা ‘
যাঁর প্রেরণা তুমি বঙ্গজননী মা।
সাহসালি উদরে যে রৌদ্রের করেছিলে চাষ
প্রজন্মান্তর জ্বলজ্বল করে জ্বলবে বারোমাস।
★হে পিতা
শ্রাবণের সেই রক্তস্রোতে ভেসে গেছে মানবতা-
বিবেকের কাছে অপরাধী আমি অপরাধী জনতা।
বাঙ্গালীর জারজ রক্তেজন্মা –
ঘৃণিত মোস্তাক বিকার বেজন্মা ;
পিতার রক্তে হাত রাঙিয়ে কাঁদিয়েছে সারা বিশ্ব।
আজও শ্রাবণে হৃদয় ক্ষরণে-
বিদগ্ধ জাতি স্বজন স্মরণে,
পিতৃহত্যার দায়মুক্তিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ আমির নিঃস্ব।
যেনে রেখো হে পিতা —
দেহের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে রক্ষা করবো-
তোমার স্মৃতিচিহ্ন তোমার স্বাধীনতা।
★বঙ্গবন্ধুই বাংলাদেশ
একটি চেতনা, লালিত স্বপ্নের কাঙ্ক্ষিত বাস্তবতা,
তেইশ বছরের রাজনৈতিক অগ্রযাত্রার ন্যায্য হিস্যা,
শোষণ- বঞ্চনার প্রতিবাদে অধিকার আদায়ের বিমূর্ত স্লোগান –
‘তোমার আমার ঠিকানা – পদ্মা, মেঘনা, যমুনা ; জয় বাংলা ‘।
সেই তর্জনী, উত্তাল জনসমুদ্র লোকারণ্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যান,
অগ্নিদীপ্ত বজ্রকণ্ঠ,স্বাধীনতা সংগ্রামের পূর্ণাঙ্গ দিক নির্দেশনা-
‘বাংলার মানুষ আজ বাঁচতে চায়’
‘ঘরে ঘরে দূর্গ গড়ে তোল ‘
‘তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে প্রস্তুত থাক’
‘ আমরা যখন মরতে শিখেছি
তখন কেউ আমাদের দাবায়ে রাখতে পারবে না’।
‘রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরও দেব-
এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব – ইনশাআল্লাহ।
‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম;
এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম; জয় বাংলা’।
হাজার বছরের ইতিহাসে -ঐতিহাসিক দিগদর্শন
প্রদীপ্ত শিখায়-অগ্নিস্ফুলিঙ্গ হয়ে –
নিমিষেই ছড়িয়েছিল – গ্রাম-গ্রামান্তর, শহর,গঞ্জ, লোকালয়,
ছাড়িয়েছিল বাঙালির রক্ত-মাংসে, হাঁড়গোর, শিরা-উপশিরা, অস্থি-মজ্জায়।
রাজপথ ভেঙে দীর্ঘ রণাঙ্গন হেঁটে লাল সবুজের রক্তখঁচিত পতাকা।
ছাপান্ন হাজার বর্গমাইলের স্বাধীন সার্বভৌম ভূ-খণ্ড,
যার নাম বাংলাদেশ।