হাকিকুল ইসলাম খোকন ,যুক্তরাষ্ট্র সিনিয়র প্রতিনিধিঃ
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের দূতাবাসে যথাযোগ্য মর্যাদা ও বিনম্র শ্রদ্ধায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদতবার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে। সৌদি আরব: দিবসটি উপলক্ষে সকালে বাংলাদেশ দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. জাবেদ পাটোয়ারী বিপিএম (বার)। দূতাবাসে স্থাপিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন তিনি। শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন। এ সময় এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এছাড়া দেশটির বিভিন্ন শহরে বসবাসরত বাংলাদেশি অভিবাসীদের অংশগ্রহণে আজ একটি ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। কাতার: দেশটির দোহার বাংলাদেশ হাইকমিশনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করার মধ্য দিয়ে শোক দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। এরপর রাষ্ট্রদূত জসিমউদ্দিন বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে আলোচনা সভা ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজিত হয়। ভারত: নয়াদিল্লীর বাংলাদেশ হাই কমিশন যথাযোগ্য মর্যাদায় নানান কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জাতীয় শোক দিবস পালন করেছে। সকালে দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করার পর হাই কমিশনার মোহাম্মদ ইমরানের নেতৃত্বে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। পরে দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু হল মিলনায়তনে এ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি এডভোকেট আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। পরে আয়োজিত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন হাই কমিশনার মোহাম্মদ ইমরান ও প্রেস মিনিস্টার শাবান মাহমুদ। ভিয়েতনাম: হ্যানয়ের বাংলাদেশ দূতাবাস যথাযোগ্য মর্যাদায় এবং ভাবগম্ভীর পরিবেশে জাতীয় পতাকার আনুষ্ঠানিক উত্তোলন ও অর্ধনমিতকরণ, দোয়া ও প্রার্থনা, এক মিনিট নিরবতা পালন, বঙ্গবন্ধুর পোর্ট্রেটে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন ও মোমবাতি প্রজ্জলন করা হয়। কর্মসূচির সূচনা করেন রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ। এসময় রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ, স্মরণ সভা এবং প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। সিঙ্গাপুর: দিবসটি উপলক্ষে সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশন প্রাঙ্গণে একটি বিশেষ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সিঙ্গাপুর প্রবাসী বাংলাদেশী কমিউনিটির সদস্যবৃন্দ, বাংলাদেশী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার এবং হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ অংশগ্রহণ করেন। দূতাবাস প্রাঙ্গণ শোক দিবসের বিভিন্ন পোস্টার ও ব্যানার দিয়ে সজ্জিত করা হয়।