গাজীপুরের কাপাসিয়ার টোক ইউনিয়নের নয়াসাংঙ্গুন এলাকায় গভীর রাতে কিশোরীকে উঠিয়ে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
গত শুক্রবার (১৩ আগষ্ট) রাতে একই ইউনিয়নের ঘোষেরকান্দি গ্রামের রফিকুলের পানের বড়ের পাশে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে জানায় পরিবার। ধর্ষণের অভিযোগে কাপাসিয়া থানায় ৯(১) ধারায় মামলা হয়েছে।
সরজমিনে জানা যায়, ওই কিশোরী (১৩) স্থানীয় সুলতানিয়া মামুনিয়া দাখিল মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। বাবা কৃষক, ‘মা’ দশ বছর ধরে প্রবাশে থাকেন (জর্ডানে)। সে তার দাদির সাথেই থাকতেন শিশু কাল ( দুই বছর ) থেকে।
এলাকাবাসী সূত্র জানায়, গত শুক্রবার রাত ১২ টার দিকে কে বা কাহারা তাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। আটকে রেখে রাতবর ধর্ষণ করে এবং পরদিন সকালে মেয়ে বাড়ি ফিড়ে আসে। কিন্তু পরিবার বলছেন শুক্রবার রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে মেয়েকে নিয়ে যাওয়া হয় এবং রাত চারটার দিকে মেয়ে নিজেই বাড়ি ফিড়ে আসে।
প্রতিবেশী কাদির মাষ্টারের ছেলে মুক্তার লোক ভাড়া করে এ কান্ড ঘটাতে পারে বলে মেয়ের বাবা ও এলাকাবাসীর ধারণা। শুক্রবার দিনের বেলায় মেয়ের চাচা আসাদুলের সাথে ঝগড়া ও হাতাহাতি হয়েছে মুক্তারের। এর আগেও একাধিকবার মুক্তার তাদের সাথে বিরোধে জড়িয়েছেন বলে জানায় পরিবার।
এদিকে সন্দেহযুক্ত মোক্তার ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে। মুক্তারের বাড়িতে না পেয়ে মোটোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
দাদি জহুরা জানায়, আমি আমার নাতনী কে নিয়ে টিনের ঘরে থাকি। শুক্রবার রাতে দুইজন এক সাথে ঘুমাইয়া আছিলাম। এইদিন রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে টিনের দেয়াল কেটে দরজা খোলে তিন জন লোক ঘরে আইয়া আমার গলায়, মাথার উপড়ে ছুড়ি ধরছে। কইছে চিৎকার চেঁচামেচি করলে মেড়ে ফেলবে। পরে কইছে আমার নাকের , কানের ও গলার গয়না (অলংকার) খুইল্লা দিতাম। আমার পড়নের কাপড় দিয়া হাত-পাঁ ভানছে। পরে আমার নাতনিরে হাত, মুখ ও পাঁ বাইন্দা নিয়া গেছে। আশপাশে লোকজন সহ অনেক খোঁজাখুঁজির পর দেখি মেয়ে আযানের আধঘণ্টা আগে বাড়ি আসছে। তখন রাত আনুমানিক আড়াইটা বাজে।
মেয়ের বাবা বলেন, তাকে নাকি একজন ধর্ষণ করেছে এবং সে কাউকেই চিনতে পারেনি। তবে যে ধর্ষণ করেছে তার পড়নে শার্ট ও লঙ্গী পরা ছিলো। তবে আমার সন্দেহ প্রতিবেশী কাদির মাস্টারের ছেলে মুক্তার এই কাজটি অজ্ঞাত লোক দিয়ে করিয়েছে। সে ছাড়া আমার কোনও শত্রু নেই। তাকে ছাড়া কেউ করবে না এমন কাজ।
কাপাসিয়া থানা পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত মনিরুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় ৯(১) ধারায় ধর্ষণের অপরাধে মামলা হয়েছে। মেয়েকে মেডিকেল চেকআপের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।😭