জাহাঙ্গীর আলম মানিক দামুড়হুদা চুয়াডাঙ্গা:
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার বন্ডবিল গেইট এলাকা থেকে আড়াই কেজি স্বর্ণালঙ্কারসহ ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে কুষ্টিয়া-আলমডাঙ্গা সড়কের বন্ডবিল গেট এলাকায় একটি প্রাইভেটকার থেকে এসব স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করা হয়।
আটককৃতরা হলো, প্রাইভেটকারের চালক-মালিক চুয়াডাঙ্গার দর্শনা শ্যামপুরের নুর ইসলামের ছেলে মো. বাপ্পী (৩০), চুয়াডাঙ্গা সদরের বনানীপাড়ার রিপন হোসেনের ছেলে সম্রাট হোসেন ও মাদারীপুর জেলার জালালপুরের বাবু হাওলাদারের ছেলে সুমন হাওলাদার।
পুলিশ জানায়, আজ দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মেফাউল হাসান দর্শনা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা একটি প্রাইভেটকারকে রেকি করতে থাকে। এক পর্যায়ে সদর থানা পুলিশ প্রাইভেটকারটি থামাতে গেলে চালক গাড়ি না থামিয়ে আরও দ্রুতগতিতে পুলিশকে ওভারটেক করে। এসময় চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি আবু জিহাদের নেতৃত্বে এসআই মেফাউল হাসান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে প্রাইভেটকারটিকে চ্যালেঞ্জ করে। পরে আলমডাঙ্গা বন্ডবিল নামকস্থানে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের সহযোগিতায় চেকপোস্ট বসিয়ে প্রাইভেটকারটি আটক করা হয়।
আটকের পর প্রাইভেটকারটি তল্লাশি করে বসার সিটের নিচ থেকে তুলা ও স্কচ টেপ দিয়ে মোড়ানো বিশেষ কায়দায় রাখা স্বর্ণালঙ্কারের ৬টি বান্ডিল উদ্ধার করে পুলিশ। ওই বান্ডিলের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের সোনার গহনা উদ্ধার করা হয়। এসময় গাড়িচালক কাম মালিকসহ তিনজন স্বর্ণ চোরাচালান সিন্ডিকেটের সদস্য আটক করে পুলিশ। একই সাথে তাদের কাছ থেকে ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা জব্দ করা হয়।
চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবু তারেক জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সন্দেহভাজন প্রাইভেট কারটি ধাওয়া করা হয়। পরে গাড়িটি আলমডাঙ্গা থানা এলাকার বন্ডবিল গেইট এলাকায় পুলিশের তল্লাশী চৌকিতে গতিরোধ করে তল্লাশী করা হয়। সেখান থেকে আড়াই কেজি ওজনের স্বর্ণালংকার জব্দ করা হয়। উদ্ধারকৃত স্বর্ণালংকারের বাজারম‚ল্য আনুমানিক প্রায় দুই কোটি টাকা। আটককৃত পাচারকারীরা আন্তঃজেলা স্বর্ণ চোরাচালান চক্রের সদস্য। আটককৃতদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে মামলা দায়ের করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশের এ কর্মকর্তা