স্টাফ রিপোর্টার : মোঃ ইকবাল মোরশেদঃ
যে নারীরা পুরুষের সাথে যে কোনো ভাবেই কোনো শারিরীক সম্পর্কে লিপ্ত হননি এবং বিয়ে বসনি সেই সব নারীদের কুমারী নারী বলে।
কিন্তু লাকসামে ৩ বিয়ের পরও কন্যা কুমারী দাবি করার অভিযোগ উঠেছে। সিপি মামলা নং- ৮৩৯/২০, তারিখ-২৫-১০-২০২০ইং ও পিবিআই হেডকোঃ স্মারক নং-৩০৫৮, তারিখ-২২/১২/২০২০ইং তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালে ঢাকাতে নড়াইলের জনৈক মনিরুজ্জামান মনিরের সাথে ইসরাত জাহান মুক্তার বিয়ে হয়।
সেই সংসারে জনৈক মনিরের ঔরসে মুক্তার গর্ভের মোঃ নাহিয়ান আব্দুল্লাহ মাহিম নামে এক ছেলে আছে তার বয়স অনুমান ৫ বছর হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রথম বিয়েতে মুক্তার দাবি ছিল কুমারী। লাকসাম পৌরসভার উত্তর লাকসাম মহল্লার উত্তর বাজার পৌড়সভার পিছনে উত্তর পাসের বাড়ির মোঃ আমিন মিয়ার ছেলে মোঃ ইমন হোসেনের সাথে ২০১৯ সালের ৪ জুলাই ইসরাত জাহান মুক্তার ২য় বিয়ে হয়।
বিয়ে রেজিষ্ট্রি করেন লাকসাম পৌরসভার ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের কাজী মাওলানা মোঃ মহি উদ্দিন। দ্বিতীয় বিয়ের কাবিনে মুক্তা নিজেকে কুমারী দেখান।
২০১৯ সালের ২২অক্টোবর লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ আবদুল আলীর সাথে ইসরাত জাহান মুক্তার ৩য় বিয়ে হয়। ডাঃ আবদুল আলী বর্তমানে মনোহরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে কর্মরত। বিয়ে রেজিষ্ট্রি করেন লালমাই উপজেলার বেলঘর দক্ষিণ ইউনিয়নের কাজী মাওলানা নুর মোহাম্মদ। তৃতীয় বিয়েতেও মুক্তা নিজেকে কুমারী দেখান।
ইসরাত জাহান মুক্তা লক্ষীপুর সদর উপজেলার পেয়ারাপুর গ্রামের মোঃ মানিক হোসেনের কন্যা।
স্থানীয় সূত্রে আরোও জানা যায়, ২০১২ সালের আগে মুক্তার নিজ গ্রামের সুমন হাওলাদার নামে এক ছেলেকে বিবাহ করে, সুমন হাওয়ালাদার বর্তমানে প্রবাসে রয়েছে।
এ ব্যাপারে ৩নং বিয়ে রেজিষ্টারকারী কাজী মাওলানা নুর মোহাম্মদ বলেন, কনের আগে কতবার বিয়ে হয়েছে তা আমার জানার কথা না, আমাকে বলেছে কনে কুমারী তাই কাবিনে কুমারী লেখা হয়েছে।
তিন বিয়ের পর নিজেকে কুমারী দাবিকারী ইসরাত জাহান মুক্তার মোবাইলে কল করলে রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। ৩/৪ বিয়ের পরও একজন নারী কিভাবে কুমারী থাকে তা নিয়ে কুমিল্লার লাকসাম ও লক্ষীপুর সদর উপজেলায় স্থানীয়দের মাঝে আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
সুত্রঃ সাপ্তাহিক সবুজপত্র ও আলোর দিশারী।