স্টাফ রিপোর্টার, মাদারীপুর :
কাজী শহিদুল ইসলাম বাবু, থাকেন, আমেরিকার লস অঞ্জেলেস শহরে, একটি বহুজাতিক কর্পোরেশনের শাখা ম্যানেজার হিসাবে কাজ করছেন সেখানে। আমেরিকাতেও ও অসংখ্য কর্মহীন মানুষের কর্ম সংস্থানের ব্যাবস্থা করেছেন তিনি।
এছাড়াও মহামারী করোনার শুরুতে জরুরি সেবার কাজ করে তিনি বিশেষভাবে প্রসংশিত হয়েছেন বাংলাদেশ ও আমেরিকায় ।
এক সময় মাদারীপুর শহরে সমাজ সেবক হিসাবে খুবই জনপ্রিয় ও পরিচিত মুখ ছিলেন কাজী সাহিদুল ইসলাম বাবু।
তিনি তার সীমিত আয় থেকে সুবিধা বঞ্চিতদের পাশে ফের দাঁড়িয়েছেন, তার একটি উক্তিতে তিনি জানান-
“কাফনের কাপড়ে তো পকেট নাই কেউ কিছুই নিয়ে যেতে পারবেনা, মানুষের দোয়া-ই পরকালের সম্পদ” যা আমি নিয়ে যেতে চাই। মহান আল্লার ডাকে হাসি মুখে যেতে চাই।
তারই ধারাবাহিকতায় মাদারীপুর সহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সুবিধাবঞ্চিত অসহায় মানুষের দুঃখ দুর্দশা লাঘবে কাজ করে যাচ্ছেন।
বাংলাদেশে অবস্থানরত বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে সমাজ সংস্কার যোদ্ধা হিসেবে সুদুর আমেরিকা থেকে তার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে তিনি তার মেধা, শ্রম ও কষ্টার্জিত উপার্জনের টাকা দিয়ে, অনাহারী, অর্ধাহারী, মানুষের কাছ পৌঁছে দিচ্ছেন,খাদ্য, বস্তু, শিক্ষা উপকরণ, এবং যাদের মাথা গোঁজার মতো বাস্থান নেই। তিনি তার নিজ অর্থে তৈরি করে দিচ্ছেন সম্পুর্ন নতুন ঘর।
সর্বপরি মানুষের ৫টি মৌলিক অধিকার নিয়ে কাজ করাই তার প্রধান লক্ষ ও উদ্দেশ্য।
তেমনি একটি পরিবার মোঃ মোসলেম উদ্দিনের পাশে দাড়িয়ে মানবাতার সেবায় এগিয়ে এসে গৃহহীন পরিবারকে নতুন একটি বসত ঘর তৈরী করে দিলেন নিজস্ব অর্থায়নে।
মোসলেম উদ্দিন সহায় সম্বলহীন, সন্তান ও গৃহহীন অবস্থায় তার স্ত্রীকে নিয়ে মাদারীপুর সদর উপজেলার টুবিয়া গ্রামে তার বোনের রান্না ঘরের এক কোনে মানবেতর জীবনযাপন করছিলেন।
২০২১ সালে কোরবানি ঈদের পূর্বের রাতে কাজী শহিদুল ইসলাম বাবু এর অর্থায়নে খাদ্য উপহার সামগ্রী পৌঁছে দেয়ার সময় জরাজীর্ণ জীবনযাপনের দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রদর্শিত হলে তার নজরে আসেলে তিনি তাৎক্ষণিক সাংবাদিক মাসুদ হোসেন খান এর সাথে যোগাযোগ করে গৃহহীন পরিবারকে একটি নতুন বসত ঘর তৈরীর নির্দেশ দিয়ে অর্থের যোগান দিয়ে ঘরটি তৈরী করে দিয়েছেন।
শুধু ঘরই নয়, সাথে একটি টয়লেট, রান্নার ঘর, লালন- পালনের জন্য হাস -মুরগী ও হাসমুগীর ঘর, ঘরের চারিপাশে মৌসুমি শাক সবজির চারাও রোপন করে দেন তিনি।
এদিকে মোসলেম উদ্দিন ও তার স্ত্রী নতুন ঘর পেয়ে আনন্দে আত্মহারা হয়ে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া প্রার্থনা করেন।
মোবাইল ফোনে কাজী শহিদুল ইসলাম বাবু প্রতিবেদককে জানান – সরকারের পাশাপাশি দেশ ও দেশের বাইরে বসবাসরত বিত্তবানেরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে সারা দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এসব আসহায় মানুষের পাশে এগিয়ে আসেন তবে দেশে কোন অভাবী মানুষ খুজে পাওয়া যাবেনা।
যতোদিন বাঁচি মানবসেবায় নিয়োজিত থেকে মৃত্যুর পরেও মানুষের মাঝে বেঁচে থাকতে চাই বলে তিনি জানান।
এলাকার স্বেচ্ছাসেবকগন জানান – কাজী শহিদুল ইসলাম বাবু ভাইয়ের মতো কোন ব্যক্তি বা সংস্থা আমাদের মাধ্যমে মানবসেবার মতো মহান কাজগুলোর দায়িত্ব দিলে স্বেচ্ছায়সেবার মাধ্যমে আমরা বাস্তবায় করতে বদ্ধ পরিকর।