

এস এম খলিলুর রহমান, খুলনা বিভাগীয় ব্যুরো চীফঃ
গত ১৪ আগস্ট ২০২১ সকাল ১১ টায় যশোর সদর রূপদিয়া নরেন্দ্রপুর রোডে জিরাট গ্রামের মৃত আব্দুল করিম মোল্লার, পুত্র মোতালেব হোসেনের, বসত বাড়ির নিচে নিজস্ব মোটরসাইকেল সার্ভিসিং ঘরটি একই গ্রামের প্রতিবেশী মৃত হাজরা বিশ্বাসের, পুত্র ভূমিদস্যু বিএনপি সমর্থিত সুদখোর বলে এলাকায় পরিচিত। ফজর আলী বিশ্বাস, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে জামাত-শিবিরের বেশকিছু ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দেশীয় ধারালো অস্ত্র দা-কুড়াল শাবল লাঠি ইত্যাদিসহ অতর্কিত হামলা চালিয়ে স্ত্রী পারভীনা বেগম (৪৫), পুত্র মানিক হোসেন (৩০), কে বে-দড়ক মারপিট করে এবং পরিবারের সকলকে হত্যা করবে বলে হুমকি দেয় বলে ভুক্তভুগী মোতালেব হোসেন, আমাদের এ প্রতিনিধিকে জানান তিনি আরোও বলেন, ঘটনার সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন না ঘটনার সময় “৯৯৯” পুলিশ দপ্তরে জানানোর পর স্থানীয় নরেন্দ্রপুর ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই সু-প্রভাত মন্ডল, ঘটনা স্থলে এসে সন্ত্রাসীদের তান্ডব প্রত্যক্ষ করেন, এবং তাদের নিকট থেকে দা-কুড়াল লাঠি শাবল উদ্ধার করেন, কিন্তু তাদেরকে আটক না করে মোতালেব হোসেনকে, কোতয়ালী মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করতে বলেন, সে অনুযায়ী থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত সঠিক ও সত্য ঘটনা তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল না করার কারণে অভিযোগটি এজাহার ভুক্ত করা হয়নি, বা এ পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি, ফলে ফজর আলী, ও তার সংঘবদ্ধ জামাত-শিবির চক্রটি বিভিন্ন ভাবে জীবন নাশের হুমকি ধামকি দিয়ে চলেছে প্রতিনিয়ত। উক্ত সন্ত্রাসী হামলাকারীরা হলেন, জিরাট গ্রামের মৃত হাজরা বিশ্বাসের, পুত্র ফজর আলী (৪০), একই গ্রামের আব্দুল আজিজের, পুত্র দেলোয়ার হোসেন (২৫), রুহুল আমিনের, পুত্র কামরুল ইসলাম, চাউলিয়া গ্রামের জয়নালের, পুত্র ইয়াকুব আলী (২৫), সহ ১০/১২ জন অতর্কিত হামলা চালায়, এবং আমি বর্তমান আমার পরিবারের জীবনের নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি বলে ভুক্তভোগী মোতালেব হোসেন, জানায়। এ ব্যাপারে স্থানীয় নরেন্দ্রপুর ক্যাম্প আইসির সাথে আলাপ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনাটি সঠিক তবে নরমাল ধারা এতে তেমন কিছু আসামীদের হবে না। এ প্রসঙ্গে এক নাম্বার আসামী ফজর আলীর সাথে যোগাযোগ করলে, তাকে পাওয়া যায়নি এঘটনা প্রসঙ্গে ঘটনাস্থলে ২০ থেকে ২৫ জন বিভিন্ন দোকানদার ব্যবসায়ীরা জানান প্রকাশ্য দিবালোকে এত বড় সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে যদি সন্ত্রাসীরা রেহাই পেয়ে যায়, বা ক্যাম্প আইসি নিরাবত্তা পালন করেন, তাহলে এ এলাকায় আমাদের ব্যবসায় নিরাপত্তা নেই বরং সন্ত্রাসীরা উল্টো মামলা দিচ্ছে অবস্থার দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে, ক্যাম্প সু- প্রভাত মন্ডলকে, মোটা অংকের অর্থের বিনিময় সন্ত্রাসীরা পার পেয়ে যাচ্ছে, তাই ভুক্তভোগী পরিবার ও ব্যবসায়ীরা যশোর জেলা পুলিশ সুপারের নিকট ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দোষী ব্যক্তিদের শাস্তির জোর দাবি জানিয়েছেন।