মোঃ বিপ্লব হোসেন:
লেখা পড়া করার সময় কাটাই মোড়া,
যেনো কাঁটা তারের বেড়া জালে।
অবসর সময় কাটাই মোড়া
হেসে আর খেলে।
গোধুলি বেলায় পাড়ার সকল ছেলে,
ফুটবল আর ক্রিকেট খেলায় যেতাম হাড়িয়ে।
জোঁসনা রাতে তারা গুলো ঝিলিমিলি করে,
পুকুর পাড়ে জোনাকিরা মিটি মিটি জলে,
সেই আলোতে কাবাডি খেলতাম পাড়ার সকল ছেলে।
গ্রীষ্মকালে গাছে গাছে পাকে আম,কাঁঠাল
মাঝে মাঝে আসে তখন কাল বৈশাখী ঝড়।
সেই ঝড়ে,ঝরে পরে গাছের পাকা আম,
সেই আম মজা করে,সবাই মিলে খাইতাম।
গ্রীষ্ম গেলে বর্ষা এলে,রিম ঝিম বৃষ্টি পড়ে।
সেই বৃষ্টিতে করিতাম গোসল,পাড়ার সকল ছেলে।
এখনো সেই সৃতি যায় মনে পড়ে।
বর্ষা গেলে, শরৎকালে,কোকিল ডাকে গাছের ডালে।
সেই কোকিলের কুহু সুর,প্রাণে লাগে সুমধুর।
শরৎ গেলে, হেমন্তকালে,মাঠে মাঠে ধান পাঁকে।
হাসি ফুটে তখন,সকল কৃষকের মুখে।
সকলের বাড়িতে মেতে উঠে নবান্ন উৎসবে।
সেই সময় পাড়ার সকল ছেলে,
খোলা মাঠে পিকনিকের আয়োজন করে।
হেমন্ত গেলে শীতকালে,রংবেরঙের পোশাক পড়ে
কেউ যায় কলেজে,কেউ যায় অফিসে।
কেউ কেউ মাঠে গিয়ে,ফসলের যত্ন করে।
ক্লাসের পড়া শেষ করে,ব্যাট মিন্টন খেলায় মেতে যাই,
কয়েকজন বন্ধু মিলে।
এভাবে, এক এক সময়, এক এক ধরনের বেশে
ছেলে বেলার দিন গুলি কেটে গেছে।