সেলিম চৌধুরী নিজস্ব সংবাদদাতাঃ-
‘৭৫ পরবর্তী ছাত্রলীগ বৃহত্তর পটিয়া উপজেলার উদ্যোগে ১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের খুনিদের বিচারের রায় কার্যকরের দাবিতে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় পটিয়াস্থ একটি কমিউনিটি সেন্টারে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা চৌধুরী মাহবুবুর রহমান। উদ্বোধক ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শামশুদ্দীন আহমেদ। প্রধান আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ বদিউল আলম।
বিশেষ অতিথি বক্তব্য রাখেন- উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হুমায়ুন কবির রাশেদ, উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আলমগীর, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন চৌধুরী, সাবেক ছাত্রনেতা ও শিশু সংগঠক সাহাবুদ্দিন, পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সোহেল ইমরান।
দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দিন ইমরানের সভাপতিত্বে ও দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের উপ-কৃষি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল কাদের পরিচালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ইউনুছ তালুকদার, ভাটিখাইন ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন, উপজেলা শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি সাইফুদ্দিন ভোলা, সাবেক ছাত্রনেতা জাহাঙ্গীর, দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জয়নুল আবেদীন ফরহাদ, যুবলীগ নেতা আজিজুল হক মানিক, সাইফুল ইসলাম জুয়েল, ওয়াহিদুল আলম, তৌহিদুল আলম জুয়েল, আমিনুল ইসলাম, বেলাল, রনি, কামাল উদ্দিন, ছাত্রলীগ নেতা মহিউদ্দিন মানিক, সাজ্জাদ হোসাইন, সাকিব হোসেন, আদনান আহমেদ রুবেল প্রমুখ।
কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্ম-সম্পাদক বদিউল আলম বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রামের স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি প্রাচ্যের অক্সফোর্ডখ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠালাভ করে পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ, যা বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনায় ১৯৫৩ সালেই নাম পরিবর্তনের মাধ্যমে ‘পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগ’ নামে বাঙালির চিরায়ত অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশালতা অর্জন করে। বঙ্গবন্ধুর বিপ্লবী আদর্শে দীক্ষিত ও বাংলার স্বাধীনতার লক্ষ্যে নিবেদিত পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগ জাতিকে স্বাধীনতার তরে চূড়ান্ত উজ্জীবিত ও ঐক্যবদ্ধ করতে ১৯৭১ সালের ৮ মার্চ থেকে সংগঠনের নামের পেছনের ‘পূর্ব পাকিস্থান’ শব্দ ঝেড়ে ফেলে শুধুমাত্র ‘ছাত্রলীগ’ নাম ধারণ করে এবং দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’ নামে সংগঠনের গৌরবময় আত্নপ্রকাশ ঘটে।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান পটিয়ায় ছাত্রলীগের যে কমিটি হচ্ছে সেখানে খুন, ধর্ষণ ও হত্যা মামলা আসামিরা স্থান পেয়েছে। তাদের কাছে জাতি ভালো কিছু আশা করতে পারে না। তাই মেধাবী ছাত্রদের দিয়ে আগামীতে ছাত্রলীগের নেতৃত্ব সৃষ্টি করতে হবে। এছাড়া ১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের খুনিদের বিচারের রায় কার্যকরের দাবি জানান তিনি।