এস এম খলিলুর রহমান,খুলনা বিভাগীয় ব্যুরো চীফঃ
সম্প্রতি নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ৬ টি অক্সিজেন সিলিন্ডার চুরি হয়ে যায়। বর্তমান দেশে কোভিড-১৯, মহামারী করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারনে মানুষের জীবন সংকটময় অবস্থায় মানুষের জীবন বাঁচানোর একমাত্র অবলম্বন অক্সিজেন, সেই মুহূর্তে নড়াইলের লোহাগড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ৬ টি অক্সিজেন সিলিন্ডার চুরি হয়ে যায়।
লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্টোর কিপার সোহানুর রহমান, আমাদের এ প্রতিনিধিকে জানান, লোহাগড়া হাসপাতালে বরাদ্দকৃত অক্সিজেন সিলিন্ডার ৪৩ টি ইনডোরে দেওয়া আছে ৬ টি এবং ওটিতে দেয়া আছে ২ টি, আর স্টোরের অন্য গুলি আছে বলে তিনি জানান। ইনডোরের সিনিয়র নার্স পবিত্রা রানী বিশ্বাসকে, বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার ইনডোরে কোন সিকিউরিটি না থাকায় ৬ টি অক্সিজেন সিলিন্ডারের মধ্যে ৪ টি চুরি হয়ে যায়। তার মধ্যে আমাদের টিএইচ স্যার শাহাবুর রহমান ২টি সিলিন্ডার উদ্ধার করেছে বলে জানিয়েছেন, এবং ২টি এখনো পাওয়া যায়নি, এদিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওটির সিনিয়র নার্স ইলা মিত্র বলেন, আমাদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কোন অপারেশন হয় না, ওটি তালা দেওয়া থাকে, অনেকদিন খোলা হয় না, তিনি নড়াইল সদর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বদলি হওয়ার কারণে অপারেশন থিয়েটারের মালামাল বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য তালা খুলে দেখেন ভিতর থেকে ২ টি অক্সিজেন সিলিন্ডার ও একটি জেনারেটর চুরি হয়ে গেছে বলে তিনি জানান। কি ভাবে চুরি হলো এ বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি কিছু বলতে পারেন না।
এ বিষয়ে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শাহাবুর রহমানের, নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন ৬ টি সিলিন্ডার চুরি হয়েছে, ২ টি উদ্ধার হয়েছে, বাকি ৪ টি সিলিন্ডার ও একটি জেনারেটার এখনও পর্যন্ত খোজ পাওয়া যায় না। ২ টি সিলিন্ডার কিভাবে উদ্ধার হলো এ বিষয় জানতে চাইলে তিনি কিছুই বলেতে পারেননি। নড়াইলের জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ নাসিমা আক্তারের কাছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অক্সিজেন সিলিন্ডার চুরি হওয়ার বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি শুনেছি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে অক্সিজেন সিলিন্ডার চুরি হয়েছে, প্রথমে থানায় জিডি করা হয়েছে, এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্তপূর্বক দোষীদের আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের জানিয়েছেন।
অনুসন্ধানে বেরিয়ে এলো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পিছনে জড়িত অনেকেই, তার মধ্যে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিভিল বাবুর্চির ছেলে ওহিদুল। জানা যায় ওহিদুল চোর চিহ্নিত হলে তাকে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। নাম বলতে অনিচ্ছুক অনেকেই আছেন তারা বলেন ওহিদুলকে দিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অনেকেই অনেক ধরনের অন্যায় কাজ করাতেন। কাজেই তাকে লোহাগড়া থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওহিদুলকে আইনের কাঠগড়াই হাজির করলেই থলের বিড়াল সব বেরিয়ে আসবে বলে জানা যায়।