মোঃমহিউদ্দীন খাঁন কমলগনঞ্জ(মৌলভীবাজার)প্রতিনিধিঃ
মৌলভীবাজার জেলার কমলগনঞ্জের শমশেরনগরে অদ্য ১ লা সেপ্টেম্বর ২০২১ খৃস্টাব্দ রোজ বুধবার শমশেরনগরে ফোন প্রতারকদের প্রতারনার শিকার এক কলেজ ছাত্রী। সরেজমিন বিকাল ৩ ঘটিকায় শমশেরনগর পশ্চিম বাজারস্হ উজ্জর ষ্টোরে এসো শর্মিরাণী দেব পিতা শ্রী পরিমল কুমার দেব গ্রাম শ্রীসুর্য পতনঊষার থেকে এসে দোকানদারকে তার একটি মোবাইল নাম্বারে ১৯৯০০ টাকা বিকাশ করতে বলে তার কথা অনুযায়ী বিকাশ এজেন্ট থেকে টাকা সেন্ড করলে শর্মির ফোনে টাকা এলেও টাকা নেই।তাৎক্ষণিক শর্মিকে দোকানদার টাকার জন্য চাপ দিলে সে অপারগতা জানায় এবং উল্টাপাল্টা কথা বলতে থাকে এ নিয়ে বিকাশ এজেন্ট শর্মিকে দির্ঘক্ষন আটকিয়ে রাখলে ঘটনার মূল কারনটি জানার জন্য পরবর্তীতে শর্মিরাণীর ভাইকে এনে বিষয়টি তার ভাইয়ের মাধ্যমে নিস্পত্তি হয় এবং দোকানদারের টাকা তার ভাই পরিশোধ করবেন বলে শর্মীকে নিয়ে যান।
শরেজমিন শর্মিরাণী দেব’র সাথে আলাপ করলে জানা যায় তাকে ৩টি মোবাইল নাম্বার যথাক্রমে 01792232420
01929771179
01931148044 থেকে সুজা মেমোরিয়াল কলেজ ছাত্রী শর্মীকে ফোন দিয়ে জানায় তুমার কলেজর উপবৃত্তির হিসাবটি বন্ধ আছে তাই তোমি টাকা পেতে হলে তার বিকাশ নাম্বার ও পিন নাম্বার জানতে চায়।সাথে সাথে সরল মেয়েটি পিন নাম্বারটি বলে দেয়।এর পর তারা শর্মীকে বলে তুমি এখনি ১৯৯০০ টাকা উক্ত নাম্বারে পাঠালে এই টাকা সহ তুমার উপবৃত্তির পুরো টাকা তোমার হিসাব নম্বরে পেয়ে যাবে।এই আশায় সহজ সরল কলেজ ছাত্রী শর্মী দোকানে এসে দ্রুত টাকা বিকাশ করে।
পরবর্তীতে প্রতারকদের দেয়া মোবাইল নাম্বারগুলো বন্ধ দেখালে তখন সে কান্নাকাটি শুরু করে।দিনের পর দিন এভাবে এক শ্রেনীর হকার বা প্রতারকদের লোভনীয় ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব হচ্ছে অসহায় মানুষগুলো।তাই আইন প্রয়োগকারী সংস্হাগুলো যেন এইসব ফোন প্রতারকদের ডিজিটাল আইনের আওতায় তদন্তপূর্বক ব্যবস্হা গ্রহন করে এই ফোন প্রতারকদের মূল্যৎপাঠন করা একান্ত প্রয়োজন।