
সোহেল রানা,নীলফামারী প্রতিনিধি:
নীলফামারী জলঢাকা উপজেলার শৌলমারী ইউনিয়নের ঢাকালীগঞ্জ বাজারের কাজী মার্কেটের পিছনে চাইল্ড কেয়ার কিন্ডার গার্ডেনের মাঠ রাতের আঁধারে ঘর তুলে দখলে নিয়েছে ভূমি দস্যুরা। জানা যায়, মৃত আবু হাসনাত কাজী আনিছুর রহমানের স্ত্রী কাজী হাসনা বেগম ও তার ছেলে রাফি আহমেদ ওসামা মালিকানা সূত্রে ঐ জমির মালিক। প্রায় বছর খানেক আগে রাফি আহমেদ ওসামা ২লক্ষ টাকা মূল্যে এক শতক জমি বিক্রির জন্য বায়নামা করে ৫০হাজার টাকায়। কিন্তু প্রভাব দেখিয়ে পুরো ১০শতক জমি রাতের আঁধারে দখলে নেয় আহাদ আলী গাটু। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে আসহায় পরিবারটি।
ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা গেছে, ১শতক জমি বাবদ বায়নামা করা ৫০হাজার টাকা দেয়ার পরে বাকী দেড় লক্ষ টাকা দেয়ার কোন হুদিস নাই আহাদ আলী গাটুর। ওসামা টাকা চাইতে গেলে কিছুদিন আগে জোড় পূর্বক ৩’শ টাকা মূল্যের ফাকা স্ট্যাম্পে সই নেয় আহাদ আলী গাটু ও তার দলবল। এবিষয়ে জলঢাকায় থানায় একটা এজহার দাখিল করা হয়েছে।
এদিকে চাইল্ড কিন্ডার গার্ডেন প্রতিষ্ঠাতার স্বপ্নের স্কুলটি নিজস্ব জায়গায় হবে ভেবে আবাদি জমি বন্ধক ও বিক্রি, স্ত্রী গহনা বিক্রিসহ নিস্ব হয়ে সাড়ে আট শতক জমি ক্রয়ের জন্য প্রায় ১৭লক্ষ টাকা প্রদান করে হাবিবুর রহমান। হাসনা বেগম ছেলের পূর্বের বায়না এক শতক জমি বাদ দিয়ে ৪শতক ও নিজের সাড়ে ৪শতক জমির টাকা হাতিয়ে নেয় হাবিবুর রহমানের কাছ থেকে। জমির দলিল রেজিস্ট্রি করার কথাও ছিলো গত মঙ্গলবার। কিন্তু রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে বাঁধ সাথে প্রভাবশালী ঐ গাটু ও তার দলবল। পরে রাতের অন্ধকারে পুরো ১০শতককে কেন্দ্র করে প্রাচীর ঘিরে ঘর নির্মান করে গাটু।
এবিষয়ে ঘটনাস্থলে আহাদ আলী গাটুকে না পেয়ে একাধিকবার ফোন করলে তিনি বলেন, আমি খুব অসুস্থ আপনাদের সাথে কোন কথা নাই।
কাজী হাসনা বেগম বলেন, আমার ছেলে রাফি আহমেদ ওসামা ১শতক বিক্রির জন্য ৫০হাজার টাকা নিয়েছিলো
আহাদ আলী গাটুর কাছ থেকে কিন্তু বাকী ছিলো দেড় লাখ টাকা। কিছুদিন আগে টাকা চাইতে গেলে আমার ছেলেকে মারধর করে ৩শ টাকার স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়েছে। এখন ১০শতক জমির দাবী করছে। এমনকি প্রভাবশালী ঐ গাটু আমার বিক্রি করা জমি মানুষকে দলিল করে দিচ্ছে না। রাতের আঁধারে এসে সেখানে ঘর নির্মান করেছে। আমাকে মেরে ফেলার ও ঘুম করার হুমকি দিয়ে আসছে। এমবস্তায় আমি অসহায় কোথায় যাবো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে এই ভূমি দস্যুর ন্যায্য বিচার দাবী করছি।
হাবিবুর রহমান বলেন, আমার স্বপ্ন ছিলো শিশু শিক্ষার জন্য একটা প্রতিষ্ঠান দেয়ার। গত বছর ৬০হাজার টাকা ডিড করে ৫বছরের চুক্তি নিয়ে কাজী হাসনাতের কাছ জায়গা একটা কিন্ডার গার্ডেন দিয়েছে। পরে হাসনাত বেগম স্কুলের জায়গা বিক্রি করবে শুনে সাড়ে আট শতক জমির বায়নামা করি।প্রতি শতক জমির মূল্য ধরা হয়েছে ২লক্ষ টাকা। আমার আবাদি জমিসহ বউয়ের জমানো টাকা ও গহনা বিক্রি করে কাজী হাসনাতকে ১৩লক্ষ টাকা দেই। বাকী টাকা দিয়ে গত মঙ্গলবার জমি রেজিষ্ট্রি করার কথা থাকলে বাঁধা প্রদান করে আহাদ আলী গাটু। এর পরে শুনি আমি যে জমি কেনার জন্য টাকা দিয়েছি সেখানে রাতের অন্ধকারে ঘর তুলেছে। এখন আমি সব কিছু বিক্রি করে নিস্ব হয়ে গেছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি যেনো আমাকে ন্যায্য বিচার পাইয়ে দেয়। এখন আমার আবাদ করার মতো কোন জমি নাই। স্বপ্নের বিদ্যালয়টি নিয়েও চলছে নানান টালবাহানা।

Reporter Name 


















