মোঃ গোলাম মোস্তফা, নান্দাইল (ময়মনসিংহ)প্রতিনিধি:
কিছুতেই থামছে না বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত ভবনে দুবৃত্তদের লুটপাট ।বিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নির্বিকার। নেই কোন পদক্ষেপ। ময়মনসিংহের নান্দাইলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত ভবনে এমনি এক লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
চার পাশ ও ভিতরের দেওয়াল ভেঙে ইট, দরজা, জানালা, গ্রিল,কাঠ ও চালের কিছু টিন খুলে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। বর্তমানে পিলারের উপর ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে ভবনটি। এর ফলে যে কোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে বড় ধরণের দুর্ঘটনা।
উপজেলার বীরবেতাগৈর ইউনিয়নে ১০ নং খড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত ভবনটি অবস্থিত। বিদ্যালয়ের ৪ কক্ষ বিশিষ্ট পুরাতন এ ভবনটি কয়েক বছর আগে পরিত্যক্ত ঘোষণার পরপরই শুরু হয় লুটপাট।
সরেজমিন দেখা গেছে,বিদ্যালয়টির মাঠে নতুন একটি ভবন হয়েছে। ২০১৪ সালে নতুন ভবনে ক্লাস শিফট হওয়ার পর থেকেই পরিত্যক্ত ভবনে লুটপাট শুরু হয়। পরিত্যক্ত ভবনটির চারপাশ ও ভিতরের দেওয়াল ভাঙা। ইট, দরজা, জানালা, গ্রিল, কাঠ কিছুই নেই। চালের কিছু টিনও খুলে নিয়ে গেছে।
স্থানীয়রা জানান,বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার সুযোগে রাতের আঁধারে যে যার মতো সব খুলে খুলে নিয়ে যাচ্ছে। যেন দেখার কেউ নেই।
বিদ্যালয়ের জমিদাতা সদস্য প্রধান শিক্ষিকার শ্বশুর মো.আব্দুর রাজ্জাক লুটপাটের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন,পরিত্যক্ত ভবনের ইট পাশেই স্তূপ করে রাখা হয়েছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সুফিয়া খাতুন বলেন,পরিত্যক্ত ভবনটি নিলামে দেওয়ার জন্য বিগত প্রায় ৪ মাস পূর্বে এডহক কমিটির রেজুলেশন ও বিদ্যালয়ের ছবিসহ আমি শিক্ষা অফিসকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। কিন্তু অফিস কোন পদক্ষেপ নেয়নি।
নান্দাইল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ আলী সিদ্দিক বলেন, এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশল অফিসকে অবগত করা হয়েছে। তারা সরকারি মূল্য নির্ধারণ করে দিলে আমরা নিলামে দিবো। ভবনটি লুটপাটের বিষয়ে প্রধান শিক্ষক থানায় একটি জিডি করবে।