

অাবু সাইদ চৌধুরী (রানীনগর নওগাঁ)
নওগাঁর রাণীনগরে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল নির্মাণে ঠিকাদারের কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উপজেলা এলজিইডির উপ-সহকারী প্রকৌশলী ওমর বক্স এবং একই অফিসের হিসাব রক্ষক সাখাওয়াত হোসেন বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নির্মাণ কাজে বিভিন্ন সময়ে ৩৮ হাজার ৫শত টাকা ঘুষ গ্রহণ করেন বলে অভিযোগ করেছেন। উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে ৬ লক্ষ ৫০হাজার টাকায় বঙ্গবন্ধুর এই ম্যুরাল নির্মাণ কাজের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ছিলেন জেনিথ কন্ট্রাকশান।
এবিষয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জেনিথ কন্ট্রাকশানের পক্ষে খন্দকার দেলোয়ার হোসেন এবং ইলিয়াস সরকার বাদী হয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বরাবর গত ২ সেপ্টেম্বর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
তাদের অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নির্মাণকালীন উপ-সহকারী প্রকৌশলী ওমর বক্স তাদের কাছ থেকে ম্যুরালের একাধিকবার ঢালায় কাজের সময় ৮ হাজার ৫শ টাকা, স্লাব করার সময় ১৫ হাজার টাকা এবং বিলে স্বাক্ষরের সময় ১১ হাজার টাকা আদায় করেন। এছাড়াও হিসাব রক্ষক সাখাওয়াত হোসেন উপজেলা প্রকৌশলীর স্বাক্ষরের জন্য ৪ হাজার টাকা গ্রহন করেন।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তাদের অভিযোগের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থ্য গ্রহনের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে দায়িত্ব প্রদান করেছেন। নির্বাহী অফিসার আগামী ৯ সেপ্টেম্বর অভিযোগকারী এবং বিবাদী এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী শাহ মোহাম্মদ শহিদুল হক, উপ-সহকারী প্রকৌশলী ওমর বক্স এবং হিসাবরক্ষক সাখাওয়াত হোসেনকে তদন্ত ও শুনানির জন্য অফিসে হাজির হতে বলেছেন।
উপজেলা উপ-সহকারী প্রকৌশলী ওমর বক্স ঘুষ গ্রহনের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এ কাজে অনেক অনিয়ম করার অপচেষ্টা করেছিল তা সত্ত্বেও আমি বঙ্গবন্ধুর ম্যূরাল নির্মাণ কাজ শতভাগ সঠিক করে আদায় করেছি। হয়তো সেই আক্ষেপ থেকেই আমার বিরুদ্ধে এই মিথ্যা অভিযোগ।
উপজেলা প্রকৌশলী শাহ মোঃ শহিদুল হক তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুশান্ত কুমার মাহাতো জানান, অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত এবং শুনানী গ্রহনের জন্য বাদী এবং বিবাদী উভয় পক্ষকে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টায় আমার অফিসে ডাকা হয়েছে। তদন্তে সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।