এস এম খলিলুর রহমান,খুলনা বিভাগীয় ব্যুরো চীফঃ
৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ সোমবার যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটের ৭ নং কক্ষের চিকিৎসা প্রদানকারী ডাঃ মাহমুদা আক্তারকে অবশেষে প্রত্যাহার করা হয়েছে। যশোর জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ শেখ আবু শাহীন তাকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন। যার স্মারক নম্বর সিএসজে/এস-৮/২০১৯/৩৬৪১/৮।
যশোর চাঁচড়া ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সহকারী সার্জন ডাঃ মাহমুদা আক্তারকে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে। এখন থেকে করোনারি কেয়ার ইউনিটের ৭নং কক্ষে সাময়িক ভাবে দায়িত্ব পালন করবে কচুয়া ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রর সহকারী সার্জন ডাঃ শারমিন সুলতানা। রবিবার থেকে এই আদেশ কার্যকর হয়েছে।
২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর যশোর চাঁচড়া ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সহকারী সার্জন ডাঃ মাহমুদা আক্তারকে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সাময়িক দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেয়া হয়। এরপর থেকে তিনি যশোর মেডিকেল কলেজ (যমেক) হাসপাতালের বহির্বিভাগে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্রের সহায়তায় ডাঃ মাহমুদা আক্তার একটি সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন।
তিনি হাসপাতালে যোগদান করেই তার দুর্ব্যবহারের শিকার হতে থাকেন ডাক্তার, সেবিকা, ওয়ার্ড-বয়, আয়া, গণমাধ্যম কর্মী, রোগী ও তাদের স্বজনরা।
হাসপাতালে আসা রোগীদের বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিক থেকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে বাধ্য করেন। অনুসন্ধানে জানা যায়, ৭ নং কক্ষে চিকিৎসা নিতে গেলে দূর-দূরান্ত থেকে আসা রোগীদের প্রয়োজন ছাড়াই রক্ত, প্রস্রাব পরীক্ষা, আলট্রাসনোগ্রাম, এক্স-রেসহ ৭/৮ টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে ধরিয়ে দেয়া হতো লিখিত কাগজ। এমনকি তিনি বলে দিতেন কোন প্রতিষ্ঠান থেকে এই পরীক্ষা গুলো করাতে হবে। এ কারণে রোগীরা ডাক্তারের নির্দেশিত প্রতিষ্ঠান গুলোতে পরীক্ষা করাতে বাধ্য হন। এ সুযোগে ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলোর মালিকপক্ষ রোগীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়। অপর দিকে, ক্ষতিগ্রস্ত হয় হাসপাতালে আসা দরিদ্র রোগীরা।
এ বিষয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ দিলীপ কুমার রায় আমাদের এ প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন, জেলা সিভিল সার্জন অফিস থেকে রোববার তিনি একটি পত্র পেয়েছেন। ওই পত্রের আলোকে ডাঃ মাহমুদা আক্তারকে তার পূর্বের কর্মস্থলে পাঠানো হয়েছে বলে জানা যায়।