মো:শাহিন,রূপগঞ্জ (নারায়ণঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
সাকিব মিয়া। বয়স মাত্র ৮ বছর। লকডাউনে মাদ্রাসা বন্ধ থাকায় কাজ নেয় পুর্বাচলে উপশহরের ল্যাংটার মাঝার নামে এলাকার আলামিন মিয়ার (২৫) চায়ের দোকানে। গত বৃহস্পতিবার সকালে দোকানীর নির্দেশ না মানায় পেয়ারা গাছে ঝুলিয়ে শিশু সাকিব মিয়াকে অমানুষিক নির্যাতন করে দোকানী আলআমিন মিয়া। একপর্যায়ে সাকিবের ডান পা ভেঙ্গে দেয়। এ ঘটনায় মামলা করলে সাকিব মিয়াসহ তার পরিবারকে হত্যার হুমকি দেয় চা দোকানী। ঘটনাটি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের পর্শি এলাকার। মঙ্গলবার দুপুরে শিক্ষার্থীর মা পারভিন আক্তার বাদী হয়ে আলআমিন, সোহাগ, সুমন ও আব্দুর রহিমকে এজাহার নামীয় ও ৩/৪ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে রূপগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
পারভীন আক্তার জানান, পারিবারিক অস্বচ্ছলতা ও লকডাউনে মাদ্রাসা বন্ধ থাকায় পুর্বাচলের আলামিন মিয়ার চায়ের দোকানে কাজ শুরু করে সাকিব মিয়া। বিভিন্ন সময় দোকানের কাজের বাইরেও অন্য কাজ করতে বাধ্য করা হতো তাকে। গত বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) দোকান মালিক আলামিন মিয়া সাকিবকে ঘাস কাটতে নির্দেশ দেয়। তার নির্দেশ অমান্য করায় সাকিবকে মারধর করে। একপর্যায়ে দোকানী আলামিন মিয়া (২৫) ও তার দুই সহযোগী সোহাগ (২৬) এবং সুমন (২৩) দোকানীর বাড়ির পেয়ারা গাছে ঝুলিয়ে অমানুষিক নির্য়াতন করে এবং সাকিবের ডান পা ভেঙ্গে দেয়। এসময় সাকিবের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে। পরে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার পর বর্তমানে সে রূপগঞ্জ উপজেলার স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সাকিব মিয়া উপজেলার পর্শি হারারবাড়ি এলাকার শাহিন মিয়ার বড় ছেলে।
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এএফএম সায়েদ বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।###