

এস এম খলিলুর রহমান,খুলনা বিভাগীয় ব্যুরোচীফঃ
৯ সেপ্টেম্বর ২০২১ বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত, যশোর সদর উপজেলার বকচর এলাকায় নকল পুড়া মবিল দিয়ে নতুন নকল মবিল তৈরি করার সময় হাতে নাতে আটক হয়েছে। বকচরের প্রতারক নকল মবিল ব্যবসায়ী আসাদুল ইসলাম আসাদ (৩৮) নামে একজন প্রতারক। এ সময় ২ লাখ টাকা জরিমানা দিয়ে পার পেয়ে জান নকল মবিল ব্যবসায়ী। আসাদুল ইসলাম যশোর সদর উপজেলার রামনগর এলাকার মীর আহসান আলীর ছেলে জানা গেছে।
যশোরের র্যাব-৬ এর ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার লে. এম সারোয়ার হুসাইন ও যশোর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান। কারখানায় গিয়ে দেখতে পান পোড়া মবিল দিয়ে গ্রীজ তৈরীর কারখানায় নকল মবিল তৈরি করা হচ্ছে। তাছাড়া কারখানার কোন বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারে না। বৈধ কাগজপত্র না থাকায় গ্রীজের কারখানায় পুড়া মবিল দিয়ে মবিল তৈরি করার অপরাধে তাকে আটক করা হয়। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান, তাকে ২ (লাখ) টাকা জরিমানা আদায় করেন। অন্যথায় তাকে ৩ মাসের জেল প্রদান করা হবে বলে তিনি জানান। এ সময় উক্ত তো জরিমানা টাকা দিয়ে তিনি জেলের দণ্ড থেকে রক্ষা পান।
যশোর র্যাব-৬, সিপিসি-৩, যশোর ক্যাম্পের (ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার) স্কোয়াড কমান্ডার লে. এম সারোয়ার হুসাইন (এক্স), বিএন আমাদের এ প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন, প্রতারক নকল মবিল ব্যবসায়ী আসাদুল দীর্ঘদিন ধরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে যশোর বকচার এলাকায় অবৈধ ভাবে গ্রীজ তৈরীর কারখানায় নকল মবিল তৈরি করে আসছিল। এ বিষয়টি আমলে নিয়ে বৃহস্পতিবার ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসানকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান চালানো হয়। এ সময় সেখানে গিয়ে দেখা যায় পুরাতন পুড়া মবিল দিয়ে কারখানার ভিতরে নকল মবিল তৈরি করা হচ্ছে। তাছাড়া একটা কারখানা কাগজ দিয়ে তিনি আরোও অনেক কোম্পানির মালামাল তৈরি করছে। এসব অপরাধের দায়ে তাকে ২ (লাখ) টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার আদায়কৃত টাকা চালানের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় কোষাগার জমা দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।