কাপাসিয়া থেকে শরিফ সিকদারঃ
কাপাসিয়া উপজেলা মানবতার ঘর টোক এর উদ্যোগে অসহায় ও হতদরিদ্র শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে।
১০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দুপুরে উপজেলার উজলী দিঘীরপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে ১০০ জন অসহায় ও হতদরিদ্র শিক্ষার্থীর পরিবারের মাঝে খাতা, কলম, স্কেল, পেনসিল বক্স, গুড়ো দুধ, আলু, লাউ, পেঁপে, কাঁকরোল,ডাল সহ এসব সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে অসহায় হতদরিদ্র শিক্ষার্থী অভিভাবকদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও বঙ্গতাজ কন্যা সিমিন হোসেন রিমি এমপি ।
আর্থিক সহযোগিতা করেন পল্লী বিদ্যুৎ কেরানীগঞ্জ ডিজিএম ইঞ্জিনিয়ার মকবুল হোসেন ও আমিন ইলেকট্রনিক্স স্বত্বাধিকার ঐ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র নুরুল আমিন ।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহম্মদ শহীদুল্লাহ , সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান প্রধান, কাপাসিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আলম চাঁদ, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উদ্দিন আহমেদ সেলিম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ ইমাম উল্লাহ শেখ ইমু, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক এমদাদুল হক, দপ্তর বিষয়ক সম্পাদক জসিম উদ্দিন শেখ, কাপাসিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন প্রধান, বারিষাব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউজ্জামান বাবলু, টোক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শরীফ মোঃ ওয়াহিদ ,টোক ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি এমএ জলিল, সাধারণ সম্পাদক মফিজ উদ্দীন, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রাজীব ঘোষ, মানবতার ঘরের প্রতিষ্ঠাতা ও উজলী দিঘীরপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ মোমতাজ উদ্দীন, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল হাসান মামুন, সাধারণ সম্পাদক আমির হামজা,টোক ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আমানউল্লাহ আমান, সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার কামাল, টোক ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সেলিম রহমান,সাধারণ সম্পাদক আলমগীর রনি সহ আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন নেতাকর্মী সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন ।
মানবতা ঘরের প্রধান উদ্যোক্তা মোমতাজ উদ্দিন বলেন আজ ১০০ জন অসহায় শিক্ষার্থী পরিবারের মাঝে শিক্ষা উপকরণ ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত মানবতার ঘরের মাধ্যমে টোক ইউনিয়ন সহ বিভিন্ন এলাকার বিভিন্ন স্কুলে ৯৪০ জন অসহায় শিক্ষার্থী পরিবারকে শিক্ষা উপকরণ ও খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হয়। তাছাড়া করোনা কালে উপজেলা বিভিন্ন স্থানে ৩৬৫০ জন অসহায় ও হতদরিদ্র পরিবারকে খাদ্য সহায়তা করেছি।১০৫০ জনকে শীতবস্ত্র ও অন্যান্য পোশাক সামগ্রী দেওয়া হয়। এছাড়া ১০০০ জনকে চক্ষু চিকিৎসা তার মধ্য থেকে ৫২ জনকে লেন্স স্থাপন ও চোখের ছানি অপারেশন করিয়েছি। তিনি আরো জানান ৫০ জনকে দন্ত চিকিৎসা ও ৫০ জনকে সাধারণ চিকিৎসা করানো ব্যবস্থা করে দেই । বিনামূল্যে ১ হাজার জনকে করোনার টিকা রেজিস্ট্রেশন করানো হয়েছে , ২২০০ জনের মাঝে করোনা সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে ।
৭০ জন মাদ্রাসা পড়ুয়া এতিম ছাত্রদের নগদ অর্থ দেয়া হয় । এক হাফিজিয়া মাদ্রাসায় নগদ অর্থ সহায়তা এবং একজন প্রতিবন্ধী বাড়ি আগুনে পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় তার বাড়ি নির্মাণের সহযোগিতায় করেছি।