পটিয়া (চট্টগ্রাম)প্রতিনিধিঃ-
চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার দি কেলিশহর আবার্ন কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের লভ্যাংশের অগ্রিম প্রত্যেক হিসেব থেকে প্রায় ১০ লাখ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত করার অভিযোগ ওঠেছে। গত ৯ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম জেলা সমবায় কর্মকতার বরাবরে এ সংক্রান্তে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেম সমিতির সদস্যরা। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পটিয়া উপজেলার দি কেলিশহর আবার্ন কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডে ২০১৯ সালে পরিচালনা পর্ষদের নিবার্চন অনুষ্ঠিত হয়। নিবার্চনে সভাপতি হিসেবে অরুন দাশ চাঁদুু, সহ-সভাপতি তাপস দে আকাশ ও সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কুমার দেব নারুসহ ৬ জন পরিচালক নিবার্চিত হয়। পরিচালনা পরিষদের প্রথম মিটিং এ সমিতির বিভিন্ন ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য প্রধান অপারেটর সভাপতি অরুণ দাশ চাঁন্দু, ২য় অপারেটর সম্পাদক প্রদীপ কুমার দেব নারু ও ৩য় অপারেটর সহ-সভাপতি তাপস দে আকাশকে মনোনীত করা হয়। এর মধ্যে ৩য় অপারেটর সহ-সভাপতি তাপস দে আকাশ চিকিৎসার জন্য ভারতে গেলে অন্য দুইজন পরিকল্পিতভাবে বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংকে মেয়াদী টাকা রেখে লভ্যাংশের অগ্রিম প্রত্যেক হিসেব থেকে ১% টাকা উত্তোলনপূর্বক আত্মসাত করেন। বিষয়টি প্রকাশ হলে সমিতির সদস্য তপু চক্রবর্তী,জগদীশ মহাজন, মি সদ্দার্র, মিন্টু সদ্দার্র, চম্পক দেব, প্রদীপ কুমার দে লিখিতভাবে চট্টগ্রাম জেলা সমবায় কর্মকর্তা ও পটিয়া উপজেলা সমবায় কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন উর্ধতন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেন।
সমিতির সদস্য চম্পক দেব জানিয়েছেন, সমিতির বিপুল পরিমান অর্থ ব্যাংকে রেখে লভ্যাংশের ১% টাকা অগ্রিম তুলে নিয়ে আত্মসাত করায় চট্টগ্রাম জেলা সমবায় কর্মকর্তা বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি পটিয়া উপজেলা সমবায় কর্মকতার্কেও অবহিত করা হয়েছে। এই সমিতিতে প্রায় ৬ হাজার ৬শত সদস্য রয়েছে। বর্তমানে তাদের প্রায় অর্ধশত কোটি টাকা মুলধন রয়েছে বলে জানাগেছে। এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম জেলা সমাবায় কর্মকর্তা আতিকুর রহমান জানান, পটিয়া উপজেলার দি কেলিশহর আবার্ন কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের লভ্যাংশের অগ্রিম টাকা আত্নসাতের বিষয়ে সমিতির সদস্যদের একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তদের ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়ে পটিয়া উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা আবু মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ জানান, দি কেলিশহর আবার্ন কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের টাকা আত্নসাতের বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। প্রাথমিকভাবে তদন্ত করে ভাউচার দিয়ে ব্যাংক থেকে লভ্যাংশের ১% টাকা উত্তোলন করেছেন মর্মে সত্যতা পাওয়া গেছে। তবে জেলা সমবায় কর্মকর্তাসহ উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মতে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান।