মোঃ তরিকুল ইসলাম,মাগুরা প্রতিনিধি:
অনেক দিনের আবদার মধুমতি নদীর উপর ‘শেখ হাসিনা সেতু ‘ দেখতে যাবে ৪ বছরের শিশু সুমাইয়া। মা তিন মেয়েকে সাথে নিয়ে সেতু দেখতে আসেন। সেতুর পাশে দাড়িয়ে ছিলেন সবাই হঠাৎ করে সুমাইয়া মায়ের চোখের আড়ালে পথের মধ্যে চলে আসে দ্রুতগামি মোটর সাইকেল চাপা দেয় সুমাইয়াকে। ঘটনাস্থলেই মারা যায় সুমাইয়া, তবে দুই মোটরসাইকেল আরোহীর অবস্থা গুরুতর।
আজ মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলা সদরে মধুমতি নদীর সেতুর উপর এ দুর্ঘটনা ঘটে।
শিশুটির বাবা গোলজার শেখের বাড়ি পাশ্ববর্তী ফরিদপুরের বোয়ালমারির ময়না ইউনিয়নের হাটখোলা গ্রামে। তিনি পোশায় ভ্যানচালক।
শিশু সুমাইয়াকে মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনলে কর্মরত চিকিৎসক কাজী আবু আহসান মৃত ঘোষণা করেন।
দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত মোটর সাইকেল আরোহী ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার বাজরা গ্রামের মঞ্জুরুল শেখের ছেলে সাজিদ শেখ (১৪) ও একই গ্রামের ইকবাল শেখের ছেলে সোহান শেখ (২০) এর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
নিহত শিশু সুমাইয়ার বাবা ভ্যান চালক গোলজার শেখ আহাজারি করছেন। তিনি বিলাপ করতে করতে বলেন,’ মেয়েডা মেলাদিন ব্রিজ দেহার বায়না ধরছিল। ওর মারে কলাম আমি কামে যাচ্ছি তুমি নিয়ে যাও। মায়েডা গিলো কিন্তু লাশ হয়ে ফিরলো।
মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পা কর্মকর্তা মকেছেদুল মোমিন বলেন, মোটরসাইকেল আরোহীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল পাঠানো হয়েছে।
মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও রামানন্দ পাল বলেন, খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যাই। শিশু সুরাইয়াকে বাচানো যায়নি।
মহম্মদপুর থানার অফিস ইনচার্জ মোঃ নাছির উদ্দিন বলেন, দুর্ঘটনার পরই আমরা ঘটনাস্থল ও হাসপাতাল পরিদর্শন করেছি। অভিযোগ গ্রহণ ও সুরহাল রিপোর্টের পর ব্যনস্থা গ্রহণ করা হবে।