

রবিউল ইসলামঃ-
যশোরের বেনাপোলে পৈত্রিক বসত ভিটা জোরপূর্বক দখল চেষ্ঠায় ভ্যান চালক পরিবারের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে বেনাপোল পৌরসভায় কর্মরত শিমুল গংরা। এ ঘটনায় ভূক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকালে বেনাপোল বাজারস্থ একতা প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে সন্ত্রাসী হামলার বিচার দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছে। সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর জখম হওয়া ভ্যানচালক হবিবার রহমান হবি সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থাকা সাংবাদিকদের জানান,গত শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল আনুমানিক ৭ টায় জমাজমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বেনাপোল পৌরসভায় কর্মরত শিমুলের পিতা মোদারেসের নেতৃত্বে হযরত,হরফুল ও ফাতেমা দেশীয় অস্ত্র দা,রড ও লাঠি সোটা নিয়ে আমার উপর হামলা চালিয়ে মাথায় আঘাত করে আমার মাথা ফাটিয়ে দেই।বর্তমানে আমার মাথায় ৬টি সেলাই সহ গুরতর জখম রয়েছে। আমাকে বাচাতে আমার স্ত্রী ও ছোট বোনের শাশুড়ী শাহিনুর(৪৬) এগিয়ে আসলে তাদের কেউ বেধড়ক মারপিট সহ দায়ের কোপ দিয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে। সন্ত্রাসী হামলায় আহত ভূক্তভোগী শাহিনুর জানান,হবি মাটিতে পড়ে গেলে আমি ঠেকাতে গেলে সন্ত্রাসী হযরতের হাতে থাকা দা দিয়ে আমার হাতে কোপ মারে। বর্তমানে আমার হাতে ৭ টি সেলাই ও হাত ফুলে তীব্র যন্ত্রনা করছে। আমার উপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার দাবী করছি। সন্ত্রাসী হামলায় আহত হবির স্ত্রী জেসমিন(২৮) জানান,হামলার ৩ দিন পূর্বে মোদারেসের ছেলে শিমুল আমার বসত ভিটায় প্রবেশ করে মারপিটের হুমকী দিয়েছিলো। হামলার দিন শিমুলের মা, হরফুল ও হযরত আমাকে মাটিতে ফেলে চটকায় ও টেনে হেচড়ে পরনের জামা ছিড়ে ফেলে।পরে স্থানীয়রা আমাদের কে উদ্ধার করে প্রথমে নাভারন হাসপাতালে ভর্তি করান। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিই। হামলার সত্যতা স্বীকার করে দূর্গাপুর গ্রামের স্থানীয় সহ প্রত্যক্ষ দর্শীরা জানান,শিমুলের ক্রয় করা জমির দখল নিয়ে হবির সাথে বিবাদে জড়িয়ে মারামারির ঘটনা ঘটেছে ও হবি পরিবার গুরুতর আহত হয়েছে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিমুলের কাছে হামলার বিষয়ে জানতে কল করলে ফোন রিসিভ না করায় বিবৃতি জানা সম্ভব হয়নি। সন্ত্রাসী হামলার স্বীকার ভূক্তভোগী পরিবার বর্তমানে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে। আসহায় পরিবারটি সন্ত্রাসী হামলার ন্যায্য বিচার পেতে প্রশাসনের সর্বস্তরের সহযোগীতা চেয়েছেন।