রবিউল ইসলামঃ-
যশোরের শার্শায় খাদ্যবান্ধব কর্মসুচীর আওতায় ৩০ কেজি চাউল ওজনে কম দেওয়াকে কেন্দ্র করে ফেইসবুকে পোষ্ট করে অপপ্রচার চালিয়েছে বলে দাবী করেছেন ডিলার হযরত আলী।দীর্ঘদিন যাবৎ তার বিরুদ্ধে এমন অপপ্রচার চালিয়ে আসছে একটি কুচক্রী মহল বলে তিনি জানান।
জানাযায়, খাদ্য বান্ধব কর্মসুচির আওয়াতায়
ডিলার হযরত হরিশ্চন্দ্রপুর, ভুলোট ও পাঁচ ভুলোট গ্রামের সাড়ে ৫শ” কার্ডের চাউল বিতরন করেন। গত দুইদিন ধরে তিনি এ চাউল বিতরন করে আসছিলেন।এসময় কার্ড প্রতি ৭ থেকে ৯শ’ গ্রাম পর্যন্ত চাউল কম দেয়ার অভিযোগ করে উপকার ভোগিরা ডিলার হযরতের বিরুদ্ধে। এমন একটি খবর ফেইসবুকে পোষ্ট করা হয়।যেটি সম্পুর্ন মিথ্য ভিত্তিহিন বলে দাবী ডিলার হযরতের।
প্রকৃতপক্ষে ৩০ কেজির চাউলের বস্তায় ২৯ কেজি ৮ শ গ্রাম করে চাউল দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন,ফুট গোডাউন থেকে যখন বস্তা আসে তখন প্রতি বস্তা ছিদ্র থাকে। ছিদ্র বস্তা থেকে চাউল ২/ ৩ শ গ্রাম পড়ে কম হয়ে যায়। পরিবর্তিতে দেওয়া শেষ হলে চাউল কম হয়ে যায়।এই প্রথম এবার ৫০ কেজির বস্তা চাউল উপকার ভোগিদের দেওয়ার জন্য সরকার বরাদ্দ দেন।কিন্তু চিত্র একই পাওয়া যায়।গোডাউন থেকে চাউল কম পাওয়া সেই ছিদ্র বস্তা। যার কারনে এবার ২ শ গ্রাম করে কম দেওয়া হয়।যাতে চাউল কম না পড়ে।যখন চাউল দেওয়া হয় তখন কোন উপকার ভোগীর অভিযোগ ছিলো না।কিন্তু পরবর্তিতে এটাকে পুজি করে একটি কুচক্রি মহল ফেইসবুকে পোষ্ট করেছে চাউল ওজনে ৭/৯ শ গ্রাম করে কম দেওয়া হচ্ছে।যেটি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
কার্ডের চাউল উত্তোলন করতে আসা শিরিনা খাতুন জানান, প্রতি মাসে আমি সঠিক ওজনে ও সঠিক ভাবে চাউল উত্তোলন করে আসছি।কোন সমস্যা হয়নি।এবার মাসেও তিনি ২৯ কেজি ৮ শ গ্রাম চাউল উত্তোলন করেছেন বলে জানান।
এ ব্যাপারে গোগা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ জানান,আমার ইউনিয়নে তিনটা ডিলার আছে ।খাদ্য বান্ধব কর্মসুচীর আওতায় গরীবের এ চাউল যেন কম না দেওয়া হয় এমন কঠোর নির্দশনা দেওয়া আছে।কয়েক জনের মুখে জানতে পারলাম প্রতি বস্তায় ৫ থেক ৭ শ গ্রাম চাউল কম দেওয়া হচ্ছে।তদন্ত করে জানতে পারলাম প্রতি জন ২৯ কেজি ৮ শ গ্রাম পেয়েছে। তবে বস্তায় ছিদ্র থাকায় চাউল কম থাকতে পারে বলে তিনি জানান।