পটুয়াখালী প্রতিনিধি শম্ভু সাহাঃ
পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার চরবিশ্বাস ইউনিয়নে চর-কপাল পাড়ার মৌজার জমি জাল-জালিয়াতি করে ভূয়া বন্দোবস্ত মোকাদ্দমা করে দীর্ঘ দিন অন্নের জমি ভোগ দখল করার মহড়া করছে একদল জাল-জালিয়াতির সদস্যরা এমনটিই অভিযোগ করে। ১৫ জনকে আসামী করে বিজ্ঞ আদালতে মামলা করেছে দশমিনা উপজেলার মৃত হোসেন আলী হাওলাদরের ছেলে আঃ লতিফ আলী হাওলাদর।
মামলা সূত্রে জানাযায়, পটুয়াখালী বিজ্ঞ সাব জজ আাদালতের দেওয়ানী মোকাদ্দমা নং ৩৬/১৯৬৯ এর রায় ডিগ্রী বলে আঃ লতিফ আলীর পিতা হোসেন আলী জীবীত থাকা একালিন এবং মৃত্যর পরেও অন্যান্য অংশীদার সহ উক্ত বর্তমান বাংলা ১৪২৮ সালেও জমি দীর্ঘদিন যাবৎ চাষাবাদ করে ভোগ দখল করে আসছি। কিন্তু আসামীগন পরস্পর যোগসাজশে ভূমি অফিসের নথিপত্র জাল-জালিয়াতির আশ্রয় গ্রহন করে তফসীল বর্ণিত বন্দবস্ত কেস নং ১৮০৩ জি৫৯-৬০, বন্দবস্ত কেস নং ৪৯৩০ জি ৫৯-৬০, বন্দবস্ত কেস নং ৬৪৭ জি ৬০-৬১, ৬৮৯ জি ৬০-৬১, ৪৯৩৬ জি ৯-৬০, ৫১৭৬ জি ৫৯-৬০, ২৩২৬ জি ৫৯- ৬০, ৩৯৩৮ জি ৫৯-৬০ ৫৮৭৫ জি ৫৯৬০, ১২৮৭ জি ৫৯৬০, ১৪২৩ জি ৫৯- ৬০, ১১৩১ জি ৫৯-৬০ এবং ১৯৯৭ জি ৫৯-৬৯ দাগের জমি গুলো খাস জমি দেখিয়ে ততকালীন কিছু তহসিলদারদের স্বাক্ষর জাল করে মালিকানা দাবী করে ভোগদখল করে বলে স্থানীয় মৃতঃ আঃ মজিদের ছেলে আঃ আলী গাজী, মৃতঃ সোনে আলীর ছেলে মোঃ জহির, মৃতঃ মোঃ ধলু হাওলাদরের ছেলে ফয়জর হাওলাদর, মৃত কানাই শীলের ছেলে উত্তম কুমার শীল, মৃত ছামছু মোল্লার ছেলে ইদ্রিস মোল্লা, আঃ ছত্তার মৃধার ছেলে রহম আলী মৃধা, মোঃ বশির পণ্ডিতের ছেলে সোলেমান পণ্ডিত, মৃতঃ হাসেম আকনের ছেলে ওয়াজেদ আকন, মোঃ লাল মিয়া মৃধার ছেলে বাহাদুর মৃধা, মোঃ ফজর আলীর ছেলে রেজাউল, মোঃ নূরুইসলাম পণ্ডিতের ছেলে জাহাঙ্গীর পণ্ডিত, মৃতঃ মোহাম্মদ এর ছেলে ভূমী অফিসের বেসরকারি সহকারী ও হোন্ডা ড্রাইভার মোঃ আলাউদ্দিন, ফয়জর হাওলাদরের ছেলে হালেম হাওলাদর ও মৃতঃ ছিদ্দিকুর রহমান মাস্টারের ছেলে ভূট্ট’র বিরুদ্ধে
চরবিশ্বাস ইউনিয়ন ভূমী অফিরের সরকারী নথিপত্রে তৎকালীন তহসীলদারের স্বাক্ষর জাল-জালিয়াতির বিরুদ্ধে গত ১৬ সেপ্টেম্বর আঃ লতিফ আলী হাওলাদর গলাচিপা চিপজুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেট আাদালতে ৪৬৭/ ৪৬৮/ ৪৭১/ ১০৯ ও ৩৪ ধারায় মামলা করলে, বিজ্ঞ আদালত মামলাটি পিবিআই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন।
উক্ত মামলায় জাল-জালিয়াতির বিষয়ে অভিযুক্তদের মুঠোফোনে একাধিক ব্যাক্তিদের কাছে জানতে চাইলে তারা এসকল জাল-জালিয়াতি করেনি বলে অস্বীকার করে।
এদিকে গলাচিপা উপজেলা ভূৃমী অফিসের সার্ভেয়ার মোঃ কামরুল ইসলাম এর কাছে কাগজের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি, পুরাতন নথি পত্র- দেখে জানান, অভিযুক্তরা সকল কিছু জাল-জালিয়াতি করেছেন বলে জানান। তিনি আরো বলেন, এদের বিরুদ্ধে আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তি হওয়া প্রয়োজন বলে জানান।
গলাচিপা সহকারী কমিশনার (ভূৃমী) মোঃ নজরুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, গলাচিপা উপজেলায় অসংখ্য কেস ঝুলে আছে, যা দ্রুত সমাধান করে ভূক্তভোগীদের হয়রানী নিরাশন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এছাড়া জারা জাল-জালিয়াতি করে প্রতারণা করছে তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত শাস্তি দেয়া প্রয়োজন বলে তিনি সু-পরামর্শ দেন এসময়।