

পটিয়া (চট্টগ্রাম)প্রতিনিধি।।-
চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার জিরি ইউনিয়নে কৈয়গ্রাম এলাকায় প্রতিপক্ষে’র সন্ত্রাসী কায়দায় হামলায় বসতঘর ভাংচুর ও লুটপাঠ চালিয়ে মহিলাসহ ৫
জনকে আহত করেছে মর্মে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ২০ সেপ্টেম্বর সোমবার বিকেল ৫টায় জিরি ইউপি’র ৩ নং ওয়ার্ডে মাওলানা দেলোয়ার হোসেনের বাড়িতে।আহতরা হলেন, দোলোয়ার হোসেন (৫০), নুরুল আবছার(৪০) ও স্ত্রী তাহমিনা
কাউছার (৩০), জামাল হোসেন (৪০), কামাল হোসেন (৩৮)। আহতদের স্থানীয়রাউদ্ধার করে পটিয়া হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। এ ঘটনায় দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে পটিয়া থানায় জিরি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাবেক সভাপতি আবদুল্লাহ আল
হারুনকে প্রধান আসামী করে ১৮ বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন থানার অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, মাওলানা দেলোয়ার হোসেনের ও একই এলাকার আ’লীগ নেতা আবদুল্লাহ আল হারুন গং এর মধ্যে জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে বিজ্ঞ আদালতে কয়েকটি মামলাও বিচারাধীন রয়েছে। এ মামলায়
গত ২০ সেপ্টেম্বর সোমবার বিকেল ৫টার দিকে উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার মশিউর রহমানসহ ভূমি অফিসের লোকজন বিরোধীয় জায়গা পরিমাপ করতে গেলে আ’লীগ
নেতা হারুনের নেতৃত্বে সার্ভেয়ারকে বাধা দেয়। পরে তার লোকজন দেশীয় অস্ত্র-সন্ত্র, লাটিসোঠা নিয়ে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে দেলোয়ারের বসতবাড়ি ভাংচুর ও লুটপাঠ করে। এ সময় দেলোয়ারসহ তার পরিবারের লোকজন বাধাঁ দিলে
তাদের উপর হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এ ঘটনায় ৯৯৯ ফোন দিয়ে পুলিশকে জানালে দ্রুত পটিয়া থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ সুএে জানাযায় । এ সময় সন্ত্রাসীরা ঘরের মালামাল আসবাবপত্র ভাংচুর করে এবং নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ । এ ঘটনায় তার ভাই, স্ত্রী, পুত্রসহ ৫ জন আহত হয়। অপরদিকে একই ঘটনায় প্রতিপক্ষ রেজাউল বাদী হয়ে থানা একটি পাল্টা অভিযোগ
দায়ের করেন এবং তাদের পক্ষে ইয়াছিন (৪০)সহ ২/৩ জন আহত হয় বলে অভিযোগের উল্লেখ করেন। এ ব্যাপারে পটিয়া থানার ওসি রেজাউল করিম মজুমদার জানান, জিরি কৈয়গ্রাম
এলাকায় জায়গা নিয়ে বিরোধের জের ধরে দু’পক্ষের মধ্যে মারামারি’র ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষে’র ৭/৮ জন আহত হয়। এ ঘটনায় পাল্টাপাল্টি দুইটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।