সোহেল রানা, নীলফামারী প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীর সৈয়দপুরে একই মালিকের ৩টি প্রতিষ্ঠান থেকে ৫জন কর্মচারীর বিরুদ্ধে ৭কোটি ২৭লক্ষ ৯৮হাজার ৩’শ ৩৭টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। শহরের এলাহী কুঠির শিল্প, আলম তারকাটা ও আলম হার্ডওয়ার ফ্যাক্টরীর মালিক ফাতেমা খাতুন (৩৭) আত্মসাতের অভিযোগ এনে এই কর্মচারীদের বিরুদ্ধে
আদালতে দুটি মামলা দায়ের করে।
মামলার পর ৫আসামীকে আদালতে উপস্থিত হওয়ার জন্য সমন জারি করা হয়। সমন জারি হলেও আদালতে কেউ উপস্থিত হয়নি । ফলে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। জারিকৃত গ্রেফতারি পরোয়ানা নং ১৩৫/২১ ও ১৪১/২১।
সি.আর ২৪৫/২০২১ ও সি.আর ২৪৬/২০২১ মামলায় অভিযুক্ত কর্মচারীরা হলেন সৈয়দপুর উপজেলার হাওলাপাড়ার মৃত শামিম মিস্ত্রির ছেলে ফখরে আলম (৫৩), রসুলপুর এলাকার আব্দুল লতিফের ছেলে মোঃ জামিল আহমেদ (৫২), কাজিরহাট এলাকার মৃত আজগার আলীর ছেলে হায়দার আলী (৪৭), পুরাতন বাবু পাড়ার মৃত মুসার ছেলে মোঃ আরশাদ (৪৫) ও হাতিখানা ক্যাম্প এলাকার আমিন মোল্লার ছেলে মোঃ আমজাদ (৫৫)।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বিগত ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠান ৩টির প্রতিষ্ঠাতা ফাতেমার দাদা মারা যায়। পরবর্তীতে পরিচালনার হাল ধরে ফাতিমার বাবা জমসেদ আলম। কিন্তু প্রতিষ্ঠান পরিচালনার হাল ধরলেও জমসেদ আলম দূরারোগ্য ব্যধিতে বিছানায় শয্যাশায়ী হয়। বিশ্বস্তার সূত্রে উক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালনার দায়িত্ব পায় অভিযুক্ত এই ৫কর্মচারী। প্রতিষ্ঠান পরিচালনার সুবাধে মালামাল ক্রয়-বিক্রয়, টাকার হিসাবসহ করখানার সমস্ত কার্যক্রম পরিচালনা করে তারা।
তবে অন্য এক কর্মচারী দূর্নীতি ও অনিয়মের তথ্য ফাঁস করলে অভিযুক্তদের থেকে সব হিসাব চায় মালিক পক্ষের তিন অংশিদার ফাতেমা ও তার দুই ভগ্নিপতি বদরুদ্দোজা ও সাজু খান।
কিন্তু হিসাব আজ দেই, কাল দেই বলে শুরু করেছে নানান টালবাহানা। এক পর্যায়ে বসে
তারকাটা ফ্যাক্টরীর ৪ কোটি ৫০ লাখ ২২১ টাকা ও এলাহী কুটির শিল্প ফ্যাক্টরীর ২ কোটি ৩১ লাখ ৩হাজার ১১৬ টাকার কোনো হিসাব দিতে পারে না ফখরে আলম ও জামিল । ২২মার্চ দুপুরে বেশ কয়েকজন কর্মচারীর উপস্থিতিতে হিসাব নিকাশে ব্যর্থহন তারা। হায়দার আলী, মোঃ আরশাদ ও আমজাদকে নিয়ে বসলে তারাও ২০২০সালের পাহেলা জানুয়ারি থেকে ১০অক্টোবর পর্যন্ত ৯৬ লাখ ৪৫ হাজার টাকার কোনো হিসেব দিতে না পেরে ফখরে আলম ও জামিল আহমেদের প্ররোচনায় নয়ছয় করেছে বলে স্বীকার করেছে।
অভিযুক্তরা বার বার টাকা ফেরত দেয়ার আশ্বাস দিলেও এখনও রয়েছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে।
ভুক্তভোগী ফাতেমা খাতুন বলেন, তারা আমাদের দীর্ঘদিনের বিশ্বস্ত কর্মচারী ছিলেন। আমার বাবা অসুস্থ্য হওয়ার পর তাদের উপর আস্থা রেখে আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্ব নেই। আমাদের অগোচরে তারা যে আমাদের এতে বড় ক্ষতি করবে তা জানা ছিল না।
এ বিষয়ে অভিযুক্তদের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।