

মিজানুর রহমান মিলন, শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি :
শারদীয় দুর্গাপূজা হিন্দু ধর্মালম্বীদের সর্ব বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব । বগুড়ার শাজাহানপুরে চলতি বছরে আগামী ১১ অক্টোবর ৬ষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে ৫ দিন ব্যাপী হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু হতে যাচ্ছে। দুর্গা পূজাকে সামনে রেখে শাজাহানপুরে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন সনাতন ধর্মালম্বীরা। উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের তথ্য মতে, এবছর বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় ৫৭ টি পূজামণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। সরেজমিনে, গত ২৪ সেপ্টেম্বর শুক্রবার শাজাহানপুরের গোহাইল ইউনিয়নের গোহাইল পালপাড়া অশ্বিনী বাবু (৯০) এর বাড়িতে সার্বজনীন বারোয়ারি মন্দিরে গিয়ে দেখা যায়, গ্ৰামের আবাল বৃদ্ধ-বণিতা সহ সকলে উৎসবের আমেজে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত। প্রতিমা তৈরীর কাজ করছেন সুপদ পাল (৫০) কথা হলো তার সাথে তিনি বলেন, এই মন্দিরটিতে দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে শারদীয় দুর্গাপূজা হয়ে আসছে । সুপদ পালের জন্মস্থান বগুড়ার কাহালু উপজেলার খাড়িয়া নিশানদারা গ্ৰামে। তিনি ১৫ বছর বয়স থেকেই এ কাজের সাথে জড়িত আছেন। বাপ-দাদার পেশা কে আজ পর্যন্ত আঁকড়ে ধরে রেখেছেন তিনি।সুপদ পাল কাদা-মাটি,খড়-কাঠ সংগ্রহ থেকে শুরু করে, প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। সকাল থেকে রাত অবধি চলছে এই কার্যক্রম। এখন শারদীয় দুর্গোৎসবে মেতে ওঠার অপেক্ষায় হিন্দু ধর্মালম্বীরা। এ উৎসবকে ঘিরে উপজেলায় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের মাঝে দেখা দিয়েছে কর্মব্যস্ততা। দিনরাত কাজ করে শিল্পীদের হাতের নিপুন ছোঁয়ায় তৈরি হচ্ছে প্রতিমা। এদিকে শাজাহানপুরে সুষ্ঠ, সুন্দর ও আনন্দঘন পরিবেশে পূজা উদযাপনের লক্ষে গত ২৩ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এক প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসিফ আহম্মেদের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রভাষক সোহরাব হোসেন ছান্নু। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ভিপি এম সুলতান আহম্মেদ, থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)আবদুল্লাহ আল মামুন । এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাহবুব রহমান ভূঁইয়া, শাজাহানপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার আশরাফুল ইসলাম, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি নীরন্দ্র মোহন সাহা, সাধারণ সম্পাদক তপু কুমার সরকার তাপস, সহ-সভাপতি সুকুমার রায়, সাংগঠনিক সম্পাদক মানিক সরকার, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ সভাপতি প্রতাপ মিএ সহ উপজেলার বিভিন্ন পূজা মন্ডপের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসিফ আহমেদ বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় দুর্গাপূজা উদযাপনে ইতিমধ্যেই উপজেলা প্রশাসন প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। প্রতিটি পূজা মণ্ডপে শান্তিতে পূজা উদযাপনের জন্য থানা-পুলিশ , আনসার,ভিডিপি ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অন্যান্য সদস্যরা পূজামণ্ডপের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার দায়িত্ব পালন করবেন।