

মোঃমহিউদ্দীন খাঁন কমলগনঞ্জ(মৌলভীবাজার)প্রতিনিধিঃ
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে পতনঊষার ইউপির রাজদীঘির পার বাজার সংলগ্ন ঈদগাহের বাউন্ডারির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের জন্য মাটি খননের কাজ করতে গিয়ে খনন কার্যবাহ নিয়োজিত দু’জন রাজ মিস্ত্রির নারে আসে একটি কষ্টি পাথরের মূর্তি সুদৃশ্য বস্তটি পাওয়ার খবর জানা যায়।বিষয়টি তাৎক্ষনিক এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্য সৃস্টি করে।
বৃহস্পতিবার (৩০শে সেপ্টেম্বর) বিকালে পারভেস মিয়া দুরুদ নামে এক রাজমিস্ত্রী খনন কাজ করার সময় এই কষ্টি পাথরের মূর্তিটি দেখতে পান। পরে তিনি তাৎক্ষণিক স্থানীয় জুয়েল আহমদের সহযোগিতায় পতনঊষার ইউপি চেয়ারম্যান ইন্জিনিয়ার তৌফিক আহমদ বাবুর কাছে হস্তান্তর করেন।
এই পাথরটি কি আসলে কষ্টি পাথর কিনা, তা পরীক্ষা নিরীক্ষার আগে কিছু বলা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে কষ্টি পাথরের মূর্তিটি উদ্ধারের সংবাদ পাওয়ার খবর চতুরদিকে ছড়িয়ে পরলে এলাকাজুড়ে তা দেখার জন্য উৎসুখ জনতার চানঞ্চল্য সৃস্টি হয়।
এ বিষয়ে এলাকাবাসীর সাথে আলাপকালে জানা যায় যে, এই অঞ্চলটিতে প্রচীনকালে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বসবাস করতেন। চার-পাঁচ বছর আগেও এরকম আরো একটি কষ্টিপাথরের মূর্তি পাওয়া গেছে। পতনঊষারের জনপ্রিয় ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার তওফিক আহমদ বাবু বলেন, রাজদিঘীর পার বাজারে ঈদগার মাটি খননের সময় ওই কষ্টিপাথরের মূর্তিটি পাওয়া গেলে স্থানীয়রা আমাকে জানানোর পর পরই তাৎক্ষণিক এলাকাবাসীর সহোযোগিতায় মূর্তিটি উদ্ধার করে ইউপি অফিসে নিয়ে আসি।
এবিষয়ে আলাপকালে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আশেকুল হক বলেন, এলাকাবাসী সহ স্থানীয়রা কষ্টি পাথরের মূর্তিটি পাওয়ার কথা জানানোর পর বর্তমান পতনঊষার ইউপি চেয়ারম্যান ইন্জিনিয়ার তৌফিক আহমদ বাবুর জিম্মায় রেখেছি। দুই একদিনের মধ্যে কষ্টি পাথরের মূর্তিটি এনে প্রত্নতাত্বিক গবেষণা অধিদপ্তরের সাথে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্হা এবং পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।