সাইফুল্লাহ নাসির,আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধিঃ
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজা আগামী ১১ ই অক্টোবর থেকে দেশজুড়ে শুরু হবে।হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মা দুর্গার আগমন উপলক্ষে বরগুনার সকল পুজা মন্ডপে তৈরি করা হচ্ছে মা দুর্গার প্রতিমা।প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা তৈরির কারিগররা।
সময় যতই সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ততই সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মাঝে দেখা গেছে পূজার প্রস্তুতি। বরগুনার সকল পূজা মণ্ডপ গুলোতে চলছে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ। খড়,বাশ,সুতলী ও মাটি দিয়ে প্রতীমা তৈরির কাজও একেবার শেষের দিকে। প্রতিমাগুলোর সৌন্দর্য্য বর্ধনের জন্য তৈরি করা হচ্ছে মাটির বাহারি নকশা। প্রতিমা গুলো একটু শুকালেই দেওয়া হবে রং তুলির আচর।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মতে,মা দুর্গা চলতি বছরের ১১ অক্টোবর ঘোটকে (ঘোড়ায়) চড়ে মহা ষষ্ঠীর দিনে পৃথিবীতে আসবেন, মহিশ অসুর কে বধ করার মাধ্যমে পৃথিবী থেকে সকল দুর্গতি নাশ করে ১৫ই অক্টোবর দশমির মহাপ্রলয়ের দিনে দোলায় চড়ে আবার স্বর্গে ফিরে যাবেন। আসন্ন দুর্গা পুজাকে ঘিরে বরগুনার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ঘরে ঘরে বইছে উৎসবের আমেজ।
বরগুনা জেলার ৬টি উপজেলা ও ৪টি পৌরসভায় মোট১৫৩টি পূজা মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। তবে এ বছর মহামারী করোনার প্রভাবে সীমিত আকারে পূজা-অর্চনা হবে বলে জানান আয়োজকরা।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ বরগুনা জেলার সভাপতি বাবু সুখরঞ্জন শীল জানান, মহামারি করোনায় সরকারের সব নিয়ম এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবার জেলার ১৫৩ টি মণ্ডপে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। ১৫ই অক্টোবর দশমীর মহাপ্রলয়ের দিনে রাত ৮ টায় প্রতিমা বিসর্জনের সময়ও নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া জেলায় ৬টি টি স্থানে প্রতিমা বিসর্জনের জায়গা তৈরি করা হয়েছে।
বরগুনার পুলিশ সুপার মোঃ জাহাঙ্গীর মল্লিক বলেন,আসন্ন দুর্গাপূজায় বরগুনা জেলায় ১৫৩টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। আমাদের নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থার মধ্যে, যখন প্রতিমা তৈরি করবে তখন পূজা কমিটির নিজেদের উদ্যোগে ভলান্টিয়ার নিয়োগ করবে এবং সেখানে আমরা একটা রেজিস্টার দিয়ে আসব সেই রেজিস্ট্রারের ডিউটি করবে এবং আমাদের বিট অফিসার রা ২৪ ঘন্টা মনিটরিং করবে। পূজা শুরু হওয়ার আগেই আমরা পুলিশ মোতায়েন থাকবে এবং পূজা প্রতিমা বিসর্জন হওয়ার পর পর্যন্ত প্রতিটি মন্দিরে পুলিশ মোতায়েন থাকবে। আমরা তিন স্তরের নিরাপত্তা মূলক ব্যবস্থা রাখবো। প্রথম দিকে তারা নিজেরা ভলান্টিয়ার হিসেবে কাজ করবে, মাঝের স্তরে পুলিশ থাকবে এবং বাইরে ডিবি পুলিশ এবং ডিএসবি থাকবে।