

সাইফুল্লাহ নাসির,আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধিঃ
মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞায় প্রথম দিনের মধ্য প্রহরে বরগুনার আমতলী পৌর এলাকার পায়রা (বুড়িশ্বর) নদী সংলগ্ন বাসুগী খালে দুর্বৃত্ত¡দের দেয়া আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে একই এলাকার জেলে মোঃ আবু হানিফ, রহমান মিয়া ও মোঃ আব্দুর রব মাতুব্বরের যৌথ মালিকানাধীন একটি মাছ ধরার ট্রলার। এতে ট্রলারসহ ইঞ্জিন ও জাল পুড়ে প্রায় দুই লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্থ জেলেরা জানায়।
ক্ষতিগ্রস্থ জেলে সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের ন্যায় উপজেলার পায়রা (বুড়িশ্বর) নদীতে মাছ ধরে পৌর শহরের বাসুগী খালের মধ্যে ট্রলার রেখে বাড়ীতে যায় ক্ষতিগ্রস্থ জেলেরা। গতকাল (রবিবার) রাত ১১টার দিকে পায়রা (বুড়িশ্বর) নদীতে মাছ ধরা শেষে একই স্থানে ট্রলারটি রেখে বাড়ীতে যায় তারা। রাত অনুমান ৩ টা থেকে ৪ টার মধ্যে অজ্ঞাত দুর্বৃত্ত¡রা ওই মাছ ধরার ট্রলারটিতে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে ট্রলারসহ জাল ও ইঞ্জিন পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
আজ (সোমবার) সকালে স্থাণীয় ফরিদ ওই মাছ ধরা ট্রলারটিতে আগুন জ্বলতে দেখে মুঠোফোনে জেলেদের জানায়। তারা ঘটনাস্থলে পৌছে দেখেন অজ্ঞাত দুর্বৃত্ত¡দের দেয়া আগুনে ট্রলারসহ জাল ও ইঞ্জিন পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ধারনা করা হচ্ছে অজ্ঞাত দুর্বৃত্ত¡রা পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। এতে প্রায় দুই লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে। এ বিষয় আমতলী থানা ও উপজেলা মৎস্য অফিসকে অবহিত করা হয়েছে এবং মামলার প্রস্তুতি চলছে।
ক্ষতিগ্রস্থ জেলে মোঃ আবু হানিফ জানান, আজ গভীর রাতে আমাদের মাছ ধরার ট্রলারটিতে অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। এতে আমাদের মাছ ধরার ট্রলারটিসহ জাল ও ইঞ্জিন পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে আমাদের প্রায় ২ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। বিষয়টি আমরা আমতলী থানা ও মৎস্য অফিসকে জানিয়েছি। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা হালিমা সরদার মুঠোফোনে বলেন, আমরা গভীর রাতে নদীতে টহল দেয়ার সময় ওই স্থানে আগুন জ্বলতে দেখেছি।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শাহ আলম হাওলাদার বলেন, বিষয়টি শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।