রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:০৩ অপরাহ্ন [gtranslate]
Headline
Headline
গাজীপুর মহানগর প্রেসক্লাবের ঈদ পুনর্মিলনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত পটিয়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় যুবদল নেতা আমিনুল ইসলাম আহত, থানায় অভিযোগ শ্রীপুরে হকারলীগের নেতাকর্মীদের কমিশন না দেয়ায় ইজারাদারের উপর হামলা     সাংবাদিক মাহমুদুর রহমানের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ঝিকরগাছায় মানববন্ধন কালিয়ার কাঞ্চনপুরে ভাংচুর, লুটপাট অব্যাহত, কেঁটে নিচ্ছে জমির ধান চৌদ্দগ্রামে মসজিদের ইমাম স্বামী স্ত্রীকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা, আড়াই মাস পর রহস্য উদঘাটন পটিয়ায় বিস্ফোরক মামলায় আ’ লীগ নেতা গ্রেপ্তার পটিয়া পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড এলডিপি’র কমিটি গঠন   শ্যামনগরে ব্যতিক্রমী এক কর্মশালায় পুরুষদের ধারনা, নারীদের অগ্রসরে প্রয়োজন পুরুষদের সহযোগিতা চৌদ্দগ্রামে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে হোটেল তাজমহল ও টাইম স্কয়ারকে জরিমা
ঝালকাঠিতে ডাক্তার ও অক্সিজেনের অভাবে মা ও শিশু কল্যানকেন্দ্রে জরুরী চিকিৎসা সেবা বন্ধ
/ ১৪২ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২১, ৯:১৭ পূর্বাহ্ন

রিপোর্ট : ইমাম বিমান:
ঝালকাঠিতে ডাক্তার ও অক্সিজেনের অভাবে মা ও শিশু কল্যানকেন্দ্রে দীর্ঘদিন যাবৎ জরুরী চিকিৎসা সেবা বন্ধ রয়েছে। একজন ( এনেসথেসিয়া ) চিকিৎসক অর্থাৎ জরুরী অপারেশনের ক্ষেত্রে রোগীকে অবস করার ক্ষেত্রে ব্যবহারিত ইনজেকশন প্রয়োগের জন্য একজন অবস এর ডাক্তারের অভাবে দীর্ঘদিন মা ও শিশু হাসপাতালে জরুরী চিকিৎসা সেবা তথা ( সিজারিয়ান অপারেশন ) বন্ধ রয়েছে। একজন গর্ভবতী নারী গর্ভপাত কালিন সময় মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রে চিকিৎসা সেবা নিতে আসলে অনেক সময় জরুরী অপারেশনের প্রয়োজন হলে সেখানে একজন ডাক্তারের অভাবে জরুরী অপারেশন করাা সম্ভব না হওয়ায় বেশির ভাগ সময় রোগীদের পাঠানো হচ্ছে ক্লিনিকে।

অনুসন্ধানে জানাযায়, দীর্ঘদিন যাবৎ মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রে অবস এর চিকিৎসক নেই। আর অবস এর চিকিৎসক না থাকায় হাসপাতালে আসা গর্ভবতী নারীদের বিভিন্ন সময় জটিল সমস্যা দেখা দিলেও জরুরী সিজারিয়ান অপারেশনের প্রয়োজন হলেও চিকিৎসকের অভাবে এখানে অপারেশন করা সম্ভব হয়না। জরুরী অপারেশনের জন্য গরীব রোগীদেরকে পাঠানো হয় ডাক্তারের পছন্দনীয় ক্লিনিকে। কখনওবা
মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রে সিজার করা হলে রোগীর পক্ষ থেকে টাকা দিয়ে বাহির থেকে এনেসথেসিয়া ডাক্তার ও অক্সিজেন সংগ্রহ করে সিজার করানো হয়।
গত ১১ অাক্টোবর দিবাগত রাতে একজন গর্ভবতী নারী অসুস্থ হয়ে মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে আসেন। সেখানে জরুরী সিজারের প্রয়োজন হলে হাসপাতালে একজন চিকিৎসক ও অক্সিজেন না থাকায় রাতেই রোগীর স্বজনদের মাধ্যমে করোনা কালীন সময় ঝালকাঠি স্বেচ্ছায় ফ্রি অক্সিজেন সেবা দানকারী অন্যতম মানবিক প্রতিষ্ঠান ঝালকাঠি মিডিয়া ফোরাম অক্সিজেন জোন থেকে অক্সিজেন সংগ্রহ করা হলেও সিজার করা হয়নি।

পরের দিন ১২ অক্টোবর সকালে বাহির থেকে রোগীর খরচে একজন এনেসথেসিয়া ডাক্তার এনে সিজারিয়ান অপারেশন করা হয়। যেখানে মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রে একজন প্রসূতি রোগীর বিনা খরচে সিজারিয়ান অপারশন হওয়ার কথা সেখানে মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রে একজন ডাক্তার ও অক্সিজেনের অাভাবে রোগীকে চিকিৎসা নিতে গুনতে টাকা। অনেক সময় বাহিরের ডাক্তার না পেয়ে রোগীদের অানত্র পাঠানো হচ্ছে। জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা গর্ভবতী নারীরা মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে আসলে জরুরী চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে কেউবা ডাক্তারের পছন্দনীয় ক্লিনিক অথবা৷ তাদের অনত্র যেতে হচ্ছে। এ বিষয় বিগত বছর ধরে এনেসথিসিয়া ডাক্তার না থাকায় অনেকবার বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হললেও কতৃপক্ষের দৃষ্টিতে আসেনি বলেই স্থানীয়রা মনে করছেন।

এ বিষয় ঝালকাঠি মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রের চিকিৎসক ডাঃ জোয়াহের আলীর কাছে বাহির থেকে অক্সিজেন ও ডাক্তার নিয়ে মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রে ( সিরজারিয়ান অপারেশন ) সিজার করার বিষয় জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রে অপারেশন বন্ধ রয়েছে। গত ১১ অক্টোবর একজন গর্ভবতী নারী আসলে তাকে দেখে তার স্বজনদেরকে রাতেই অপারেশনের জন্য প্রস্তুতি নিতে বলি একই সাথে হাসপাতালে অক্সিজেন না থাকায় তাদেরকে অক্সিজেনের ব্যবস্থা করতে বলায় তারা অক্সিজেনের ব্যবস্থা করে। পরের দিন ১২ অক্টোবর সকালে অপারেশন কাজ সম্পন্ন করি। এছাড়াও মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রে সিজারিয়ান অপারেশন করতে আপনারা কত টাকা নিয়ে থাকেন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে ( এনেসথেসিয়া) অবস এর ডাক্তার না থাকায় বাহির থেকে ডাক্তার এনে অবস এর ইজ্ঞেকশন দিতে হয়, সে ক্ষেত্রে বাহির থেকে নিয়ে আসা ডাক্তারকে সম্মানি বাবদ কিছু টাকা দিতে হয়। আর সেই টাকা রোগীর স্বজনরা দেন এছাড়া কোন টাকা নেয়া হয়না। মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রে অাক্সিজেন না থাকার কারন জানতে চাওয়ায় তিনি জানান, চলতি বছর করোনা ভাইসরাস সংক্রামনের পর থেকেই হাসপাতালে অক্সিজেন সংকট রয়েছে। এসকল সমস্যার বিষয় সমাধানের জন্য আপনি আপনার উর্ধতন কতৃপক্ষকে জানিয়েছেন কি না ? জানতে চাইলে তিনি জানান, হ্যা আমাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

ঝালকাঠি মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রে গর্ভবতী নারীকে সিজার করানো বাবদ কোন টাকার প্রয়োজন আছে কিনা এবং হাসপাতলে কোন অক্সিজেন সরবারহ না থাকার কারন সম্পর্কে ঝালকাঠি পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক পিয়ারা বেগমের কাছে মুঠো ফোনে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, মা ও শিশু হাসপাতালে সিজার করতে কোন টাকার প্রয়োজন হয়না। আর ঝালকাঠি মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রে দুজন ডাক্তারের প্রয়োজন। সে ক্ষেত্রে এনেসথেসিয়া ডাক্তার না থাকায় সেখানে সিজার করা বন্ধ রয়েছে। বহুদিন ধরে সেখানে এনেসথেসিয়া ডাক্তার নেই। এনেসথেসিয়া ডাক্তার না থাকার কারন জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, ঝালকাঠি মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রের জন্য একজন এনেসথেসিয়া ডাক্তার দেয়া হয়েছে তবে সে কিছু দিনের জন্য একটি প্রশিক্ষনে থাকায় বর্তমানে অপরেশন কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও এনেসথেসিয়া ডাক্তার প্রশিক্ষন থেকে আসলে পুনরায় চালু হবে। মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রে অক্সিজেন না থাকার কারন জানতে চাইলে তিনি জানান, কয়েকদিন আগেে শুনেছি হাসপাতালে অক্সিজেন সংকট আছে। সাপ্লাইয়ের বিষয় আমরা আমাদের উর্ধতন কতৃপক্ষকে আগেই জানিয়েছি আশাকরি দ্রুত একজন এনেসথেসিয়া ডাক্তার ও অক্সিজেন সমস্যা সমাধান হবে।

এ বিষয় গত ১১ অক্টোবর মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রে
চিকিৎসা নিতে আসা গর্ভবতী নারীর এক স্বজনের ( নাম প্রকাশে প্রকাশে অনিচ্ছুক) কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, আমারা একজন নার্সের সহযোগীতায় আমাদের রোগীকে মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রে নিয়ে আসি। এখানে আসার পর ডাক্তার জোয়াহের আলী স্যার আমাদের রোগী দেখেন এবংআজ রাতেই জরুরী সিজার করতে হবে বলে জানান, কিন্তু হাসপতালে অক্সিজেন না থাকায় আমাকে বাহির থেকে অক্সিজেন নিয়ে আসতে বলা হলে আমি রাতেই ঝালকাঠির অক্সিজেন সেবা প্রতিষ্ঠান থেকে একটি অক্সিজেন নিয়ে হাসপাতালে আসলে ডাক্তার
পরেরদিন সকালে সিজার করবেন বলে জানায়।

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Our Like Page
April 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031