

সেলিম চৌধুরী নিজস্ব সংবাদদাতাঃ;
চট্টগ্রামের পটিয়ার গর্বিত সন্তান বীর মুক্তিযোদ্বা ফটিকছড়ি সরকারী কলেজে সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর আবদুর রহিম
চৌধুরী বলেছেন কারো একদিনের ঘোষনায় বাংলাদেশ স্বাধীন হযনি। প্রকৃত পক্ষে সেদিন এম এ হান্নান প্রথম স্বাধীনতার ঘোষনা পত্র পাঠ করার পর সে সময়ে সেনা বাহিনীতে থাকা সেনা সদস্যদের বাঙ্গালী মুক্তিযোদ্বাদের সাথে সম্পৃক্ত করতে করলডেঙ্গা পাহাড় থেকে মেজর জিয়াকে কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষনা পত্রটি পাঠ করানো হয়েছিল। তিনি তার জীবনদশায় এ ধরনের কোন ঘোষনাকারী দাবি না করলে ও কতিপয় বিভ্রান্তকারী বিকৃত ইতিহাস প্রচার করছে। তিনি আরোও বলেন বঙ্গবন্ধুর সুদীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের ফসল আজকের স্বাধীন বাংলাদেশ। যা অর্জন করতে বঙ্গবন্ধু জীবনের অধিকাংশ সময় কারাগারে জীবন কাটিয়েছেন। যখন তিনি স্বাধীনের পর বিধ্বস্ত দেশকে পুনগঠন করে ঘুরে দাড়াচ্ছিলেন তখনই ৭৫’র ১৫ আগষ্ট স্বাধীনতা বিরোধী চক্র তাকে স্বপরিবারে নির্মম ভাবে হত্যা করে। সেদিন ঘাতকরা এতবেশী জঘন্যতম অপরাধ করেছিল যে ১১ বছর বয়সী শিশু রাসেলকে ও তারা বাঁচতে দেয়নি। ইতিহাসের এ কলংকজনক অধ্যায় মুছতে হলে এ দিনের সকল ঘাতকদের ফাঁসিতে ঝুলাতে হবে। তিনি জাতির পিতার কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চলমান উন্নযন চিত্র তুলে ধরে বলেন বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নয়ন সমৃদ্ব রাষ্ট্রে পরিনত হবে। তিনি গতকাল ১৮ অক্টোবর রবিবার পটিয়ার দক্ষিণ ভুর্ষি শেখ রাসেল স্মৃতি পাঠাগারে রাসেল দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা গুলো বলেন। পাঠাগারের সভাপতি দক্ষিণ ভুর্ষি ইউপির চেয়ারম্যান মুহাম্মদ সেলিমের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন পটিয়া প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক আবদুল হাকিম রানা, রাসেল বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি কাজল চন্দ্র দে, পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক বিকাশ দে বাবু, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মিহির চক্রবত্তী, সাবেক সভাপতি ভুবন কুমার দে, প্রতিষ্টাতা সদস্য স্বপন কান্তি নাথ, সন্জিব চক্রবত্তী মিঠু, সাবেক উপদেষ্টা সদস্য নিহার চক্রবত্তী, বক্তব্য রাখেন মেম্বার অজিত দেবনাথ সহ সভাপতি রতন কুমার দে, কামরুল হাসান বাবু, ইউসুফ নবী টিপু, মেম্বার আহমদ নুর সাগর, পটিয়া পৌরসভা জাতীয় শ্রমিকলীগ সভাপতি শফিকুল ইসলাম শফি, মনজুরুল ইসলাম, চন্দ্রনাথ দে, কামাল উদ্দিন ভুলু, একরাম উদ্দিন, মাহাবুবুল আলম,সুপ্রকাশ চক্রবত্তী অপু, কাঞ্চননাথ, মো: হামিদ,আশীষ মহাজন, জুবায়ের আহমদ ইমন, ওয়াহেদুর নুর মিন্টু, যুবলীগ নেতা মো: রাসেল, অর্পন চক্রবত্তী, নিখিল মিত্র, সন্জিব দে, আবুল হোসেন,যাদব সর্দার, দিলীপনাথ, প্রমুখ। অনুষ্টান পরিচালনা করেন বিপ্লব দে রিগ্যান। এতে পরে কেক কেটে জন্মদিন পালন করা হয়। চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সেলিম বলেন, ঘাতক রাসেল খুনীদের আইনের আওতায় এনে কঠোর বিচারের দাবি জানান।