

মোঃ উজ্জল স্টাফ রিপোর্টার:
প্রেমিকাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। সে ধর্ষণের ভিডিও চিত্রধারণ করে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। একপর্যায়ে গোপনে অন্যত্র বিয়ে করে ধর্ষণের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয় ওই যুবক। গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের দেওনাচালা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে গতবুধবার দুপুরে শ্রীপুর থানায় ৩ ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্তরা হলেন তেলিহাটি মোড়ের খোকন মৃধার ছেলে নাইম মৃধা (২৫), তার অপর সহযোগিরা মৃত কাদির মৃধার ছেলে নজরুল ইসলাম (৫০) এবং মজিবর মৃধার ছেলে সজীব মৃধা (২২)।
থানার অভিযোগ ও ভিকটিমের বাবার সাথে কথা বলে জানা যায়, ভিকটিম তেলিহাটি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস.এস.সি পাশ করেছে। স্কুলে আসা যাওয়ার পথে ভিকটিম নাইমের দোকান থেকে বিভিন্ন সময় খাতা কলম কিনতো। এরই সূত্র ধরে নাইমের সাথে তার পরিচয় হয়। পরিচয় থেকে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। নাইম গোপনে ভিকটিমকে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরাঘোরি করতো। অনুমান এক বছর পূর্বে নাইম ভিকটিমকে মাওনা চৌরাস্তার দক্ষিন দিকে এবং বাঘের বাজারের আগে কোন একটি হোটেলে নিয়ে তাকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। এসময় নাইম ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে রাখে। ভিকটিম নাইমকে ভিভিওটি মুছেফেলার কথা বলে। নাইম তাকে জানিয়েছে ভিডিওটি সে মুছে ফেলেছে।
কিছুদিন পরে নাইম ভিকটিমকে খবর দিয়ে দেখা করতে বলে। কথা অনুযায়ী ভিকটিম নাইমের সাথে দেখা করে। এ সময় নাইম ভিডিওর কথা বলে ভিকটিমকে অনৈতিক কাজের প্রস্তাবদেয়। ভিকটিম নাইমের প্রস্তাবে রাজী হয়নি। এতে নাইমের সাথে ভিকটিমের মনোমালিন্ন হয়। পরে নাইম ভিকটিমের কাছে ৫লাখ টাকা দাবী করে। টাকা নাদিলে ভিডিওটি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকী দেয় নাইম। ঘটনার পর থেকে নাইম পলাতক রয়েছে।
ভিকটিমের বাবা আরও অভিযোগ করেন, অনুমান তিন মাস পূর্বে নাইম গোপনে অন্যত্র বিয়ে করে। এক পর্যায়ে মোবাইলে ধারণ করা অশ্লীল ভিডিওটি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়। ১৮ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টার দিকে এলাকার বিভিন্ন লোক মোবাইলে ফোন করে তার মেয়ের ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পরার কথা জানায়। পরে তিনি ভিকটিমের কাছে থেকে ঘটনার বিস্তারিত জানেন। পরদিন ১৯ অক্টোবর দুপুরে নাইমের নিকটাতœীয় ও সহযোগী একই এলাকার নজরুল ইসলাম ও সজীব মৃধার কাছে ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার বিষয়ে জানতে চান। এতে নজরুল ও সজীব মৃধা ক্ষিপ্ত হয়ে আইনের আশ্রয় নিলে ভিকটিমকে অপহরণসহ খুন জখমের হুমকীদেয়।
শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজ ইমতিয়াজ ভূইয়া জানান, ভিকটিমের বাবার কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তবে ঘটনাটি প্রায় আড়াই বছর পূর্বে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।