

হাকিকুল ইসলাম খোকন ,যুক্তরাষ্ট্র সিনিয়র প্রতিনিধিঃ
বিশ্বের কম ঝুঁকিপূর্ণ ৪৬ দেশের টিকার ডোজ সম্পূর্ণকারী পর্যটকরা কোয়ারেন্টাইন ছাড়াই থাইল্যান্ড ভ্রমণ করতে পারবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুত চান ওঁচা। তিনি বলেছেন, আকাশপথে দেশটিতে প্রবেশের পর করোনা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এলে কোনও পর্যটককে কোয়ারেন্টাইন পালন করতে হবে না। নতুন এই নিয়ম আগামী ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর হবে।খবর বাপসনিউজ।
এর আগে, গত ১০ অক্টোবর করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘদিন বিদেশি পর্যটকদের জন্য সীমান্ত বন্ধ রাখার পর তা আংশিক খোলার ঘোষণা দিয়েছিলেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে প্রায়ুত চান ওঁচা আগের ১০ দেশের সেই সংখ্যা এখন ৪৬ করা হয়েছে বলে ঘোষণা দেন। তবে কোয়ারেন্টাইন-মুক্ত ভ্রমণের নতুন এই তালিকায় কোন কোন দেশ আছে; সে বিষয়ে কোনও ইঙ্গিত দেননি তিনি।
প্রায়ুত চান বলেন, ‘আমাদের দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাওয়া দরকার এবং এটি এখনই দরকার। প্রথমে সবকিছু একেবারে ঠিক হয়ে যাওয়ার অপেক্ষা করলে আমরা অনেক দেরী করে ফেলতে পারি। এছাড়া পর্যটকরা অন্যান্য দেশ ভ্রমণের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।’
চলতি মাসের শুরুর দিকে সিঙ্গাপুর, চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের কম ঝুঁকিপূর্ণ ১০ দেশের টিকার ডোজ পূর্ণকারী পর্যটকদের জন্য সীমান্ত খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় থাইল্যান্ড। ওই সময় জানানো হয়, ফ্লাইট শুরুর আগে এবং পৌঁছানোর পর করোনা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এলে কোনও পর্যটককে কোয়ারেন্টাইন পালন করতে হবে না।
প্রায়ুত চান বলেছেন, আমাদের প্রস্তুতি জোরদার করা দরকার। আমাদের জনস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কেও টিকাদান কর্মসূচির গতি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছি।
তবে সীমান্ত খুলে দেওয়ার এই সিদ্ধান্ত সংক্রমণের ঝুঁকির বিষয়টি মাথায় রেখেই নেওয়া হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন থাই প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, এটি এক ধরনের ঝুঁকি। আমাদের এটি মেনে নিতে হবে।
প্রায়ুত বলেন, ‘আমি মনে করি থাইল্যান্ড এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশ কোভিড-১৯ এর ঝুঁকি আরও ভালভাবে মোকাবিলা করতে সক্ষম। আমাদের করোনার সঙ্গে সহাবস্থানের অভ্যাস শিখতে হবে।’ তবে ওই ৪৬ দেশের বাইরের অন্যান্য দেশের পর্যটকদের থাইল্যান্ড ভ্রমণে করোনা বিধি মেনে চলতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
দেশটির সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালের প্রথম আট মাসে থাইল্যান্ড ভ্রমণ করেছেন ৭০ হাজারের বেশি বিদেশি। তাদের সবাইকে থাইল্যান্ডে নেমে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইন পালন করতে হয়েছে। ২০১৯ সালে এক বছরে চার কোটি পর্যটক থাইল্যান্ড ঘুরেছিলেন।
এশিয়ার যে দেশগুলো করোনায় সবচেয়ে বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছে তার মধ্যে থাইল্যান্ড অন্যতম। গত জুলাই থেকে দেশটিতে প্রতিদিন করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হচ্ছেন ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ। করোনাভাইরাস মহামারির প্রভাবে প্রায় ভেঙে পড়ার অবস্থায় পৌঁছেছে দেশটির পর্যটন খাত। এ কারণে দ্রুত পর্যটন শিল্পের উন্নতি করতে চায় দেশটির সরকার।