

সেলিম চৌধুরী নিজস্ব সংবাদদাতাঃ-
চট্টগ্রামের পটিয়ায় একটি মাদ্রাসার নাম পরিবর্তন ও দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলার আশিয়া মোল্লাপাড়া আহমদিয়া ফোরকানিয়া মাদ্রাসা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলে নিহত হয়েছেন মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা রুহুল আমিন চৌধুরী (৬৫)। তিনি ওই এলাকার মৃত শফিউর রহমান চৌধুরীর পুত্র। ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন বৃদ্ধ রুহুল আমিনকে পটিয়া হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৮ সালে উপজেলার আশিয়া ইউনিয়নে আহমদিয়া ফোরকানিয়া মাদ্রাসা রুহুল আমিন প্রতিষ্ঠা করেন। এতে ভুমিদাতা ছিলেন রুহুল আমিন, কবির আহমদ ও নুরুল আমিন। মাদ্রাসাটি বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড হতে ইবতেদায়ী মাদ্রাসা হিসেবে স্বীকৃতিও পেয়েছে। এর মধ্যে একই এলাকার মো. জামাল উদ্দিন, কামাল উদ্দীন ও জালাল উদ্দীন তাদেও পারিবারিক সদস্যদের নামে মাদ্রাসার নাম পরিবর্তন করে কবির-জরিনা মাদ্রাসা নামকরণ করা হয়। নামকরণ নিয়ে এলাকায় দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। শুক্রবার মাদ্রাসার নাম পরিবর্তন ও জায়গা দখলের ঘটনায় স্থানীয়ভাবে ২২ অক্টোবর শুক্রবার সকালে বৈঠকও ছিল। এই বিরোধের জের ধরে শুক্রবার সকালে দুই পক্ষের মধ্যে বাকতিন্ডা হয়। এতে মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা রুহুল আমিনকে প্রতিপক্ষের লোকজন ধাক্কা দেন বলে রুহুল আমিনের চাচাতো ভাই মো. নাসির হায়দারসহ আরোও অনেকে অভিযোগ করেন। তবে স্থানীয় ইউপি সদস্য আহমদ নুর বলেন, মাদ্রাসার নামকরণ ও জায়গা নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল গতকালও উভয় পক্ষের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে বৈঠক ছিল, এতে কথাকাটা কাটি সামান্য হাতাহাতির ঘটনা ঘটে এতে রুহুল আমিন হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পড়লে পটিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ প্রসঙ্গে পটিয়া থানার ওসি রেজাউল করিম মজুমদার জানিয়েছেন, মাদ্রাসার নামকরন নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে শুক্রবার দুইপক্ষের বাকবিতন্ডা হয়। মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা রুহুল আমিন ঝগড়া থামাতে গিয়ে এক পর্যায়ে মাটিতে লুটে পড়ে। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ করেনি জানান।এলাকার লোকজন জানান রুহুল আমিন একজন ভালো মানুষ ছিলেন তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়ায় নেমে আসে। সচেতন মহল বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।