

শরিফ মিয়া…..
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় পতিত জমিতে পানিফলের চাষের বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশে প্রথম বাণিজ্যিকভাবে চাষ শুরু করে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায়। কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় এই পানিফল চাষে অনেক আগ্রহী হচ্ছেন চাষিরা। এ উপজেলায় পানিফল উৎপাদনে সফলতা পাওয়ায় অন্যান্য উপজেলার চাষিরা অনুপ্রাণিত হয়ে চাষাবাদ পদ্ধতি শিখে তাদের পতিত জমিতে চাষ শুরু করছেন চাষিরা। এটি একটি বর্ষজীবী জলজ উদ্ভিদ পানিফল এই ফলের গাছটি ৫ মিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। পানির নীচে মাটিতে এর শিকড় থাকে এবং পানির উপর পাতা গুলি ভাসতে থাকে। বিভিন্ন পতিত ডোবা, খাল, পুকুরের অল্প পানিতেই পানিফল চাষ করা যায়।
কৃষকেরা বলেন , পানিফল চাষে আমরা লাভবান যেমন সার কীটনাশকের তেমন প্রয়োজন হয়না। অন্যান্য ফসলের থেকে এর পরিচির্যাও কম। অল্পপুঁজি ব্যয় করে লাভ বেশী। খেতেও সুস্বাদু। এবছর আমাদের জমিতে পানিফল চাষের খরচ হয়েছে বিঘা প্রতি চার হাজার টাকা থেকে ৫ হাজার টাকা । আশা করি এবার প্রতি বিঘাতে ফল বিক্রি করতে পারবো ২০ হাজার থেকে ২২ হাজার টাকা। অন্যান্য ফসলের থেকে লাভও দ্বিগুণ পাচ্ছি। এই ফল চাষে বর্তমানে আমাদের আগ্রহ দিন দিন বেড়েই চলেছে।
আমাদের অঞ্চলে বদ্ধ জলাশয়ে পানিফল চাষ করে সাবলম্বী হয়ে উঠছে অনেক হতদরিদ্র মানুষ। অল্পপুঁজি ব্যয় করে পানিফল চাষের মাধ্যমে দু’পয়সা বাড়তি আয় করে অভাবের সংসারে সচ্ছলতা এনেছে প্রায় শতাধিক পরিবার। পানিফল যেমন শরীরের জন্য বেশ উপকারি। খেতেও সুস্বাদু। এই ফল শরীরের পুষ্টির অভাব দূর করে, ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে করতে সাহায্য করে, রক্ত আমাশা বন্ধ করে, দৈহিক বিশেষ শক্তিবর্ধক, নারীদের মাজুরতার আধিক্যজনিত সমস্যা ঠিক করতে খুবই উপকারী।
দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ আবুল হাসান রাজু বলেন, বর্তমানে পানিফল কৃষিতে নতুন এক সম্ভাবনাময় ফসল। আমাদের কৃষি বিভাগ সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে পানিফল চাষের বিস্তার ঘটাতে। যেকোন পতিত খাল, পুকুর, ডোবা অথবা জলাশয়ে চাষ করা সম্ভব। তুলনামূলক এর উৎপাদন খরচ কম। এবার বন্যার প্রখর কম থাকায় পানিফল চাষে আগ্রহ পাচ্ছেন এই উপজেলার চাষীরা। চলিত বছরের প্রয় ১০০ হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়েছে।