

রবিউল ইসলাম শার্শা প্রতিনিধি:-
শপথ করি, দুর্যোগে জীবন-সম্পদ রক্ষা করি’ এই প্রতিপাদ্য সামনে রেখে আজ থেকে সারা দেশে শুরু হয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ-২০২১। এসময় বেনাপোল ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ রতন কুমার দেবনাথ এর সভাপতিত্বে প্রদান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বেনাপোল পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটন, শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর আলিফ রেজা।
বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) সকালে বেনাপোল ফায়ার সার্ভিসের প্যারেড গ্রাউন্ডে সকাল ১০টার সময় অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। অনুষ্ঠান শুরুতেই পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর আলিফ রেজা জাতীয় পতাকা শ্রদ্ধা জানান। এরপর পবিত্র কুরআন তেলওয়াত ও বাংলা অনুবাদ করেন ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার মোঃ আনিছুর রহমান।
সারা দেশে অগ্নিনিরাপত্তা জোরদার করতে সকল মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কার্যক্রমে জনসম্পৃক্ততা বাড়ানোর লক্ষ্যে প্রতিবছরের মতো এবারও ফায়ার সার্ভিস সপ্তাহ উদযাপন করা হচ্ছে। এসময় বিপদ মুহুর্ত্বে ফায়ার সার্ভিসের বেশ কিছু কার্যক্রম প্রদর্শন করেন স্টেশন ইনচার্জ রতন কুমার দেবনাথ।
এসময় প্রধান অথিতির বক্তব্যে মেয়র আশরাফুল আলম লিটন বলেন, ফায়ার সার্ভিস এটি একটা উপলক্ষ্য, এবং একটি এলাকা গুরুত্ব দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস প্রতিটি উপজেলায় আছে সেটা এক জিনিস কিন্তু স্থল বাণিজ্যের যেখানে প্রায় ৭০-৮০ শতাংশ বাণিজ্য বেনাপোল বান্দর দিয়ে হয়ে থাকে সেই কারণে ১৯৯৬ সালে দলনেত্রী শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে এই ফায়ার সার্ভিস কার্যক্রম চালু হয়।এবং এখনো সেই অবস্থায়ই আছে।কিন্তু ফায়ার সার্ভিসের বর্তমান যে অবস্থায় আছে এটি এভাবে থাকতে পারেনা। তিনি বেনাপোল ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ রতন কুমার দেবনাথ’কে ফায়ার সার্ভিসের নিজেস্ব প্যাডে আবেদন করতে বলেন। যাতে এই ফায়ার সার্ভিসটি পূর্ণঙ্গ ফায়ার সার্ভিস স্টেশন এবং আরো ১০-১৫ বিঘা জমি অধিগ্রহণ করে বেনাপোল ফায়ার সার্ভিস স্টেশনটি বিভাগীয় লেভেলে যেভাবে ফায়ার স্টেশন থাকে সেই ভাবে আমাদের দরকার। কারণ এই বেনাপোল থেকে সরকার প্রতি বছর ৮ থেকে ১০ হাজার কোটি টাকা নিয়ে থাকেন। সুতরাং এখানের একটা ফায়ার সার্ভিসের পেছনে কয়েক কোটি টাকা খরচ করবে এটা আমাদের রাষ্ট্রের জন্য এখন খুব বেশি কষ্টের বিষয় হবে না। এছাড়া এটা আমাদের হক, এই অঞ্চলের ভৌগলিক কারণে এটা আমাদের পাওনা।এটাকে এই রুগ্নভাবে রাখা যাবে না। তিনি ফায়ার সার্ভিসের সকল কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, যারা আমাদের সমাজের রাষ্ট্রের জান, মালের নিরাপত্তার জন্য ফায়ার সার্ভিসের যে প্রাণবদ্ধ চেষ্টা এই চেষ্টাকে আমরা সম্মান জানাই।
এছাড়াও যারা ফায়ার সার্ভিসের মতো ঝুঁকিপূর্ণ পেশা ফায়ার সার্ভিসে কর্মরত তাদের বেতন ভাতা বাড়ানোর জন্য সরকারের দৃষ্টি কামনা করেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলিফ রেজা বলেন, ইতিপূর্বে আমাদের বেনাপোল বাজারে একটি অগ্নিকান্ড সংঘটিত হয়েছে, খবর পেয়ে সেখানে যায় এবং দেখি সেখানে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দক্ষতার সাথে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়। এছাড়া বন্দরের বিভিন্ন জায়গায় মাঝে মধ্যে আগুন লেগে অনেক ক্ষয় ক্ষতির সম্মূখিন হয়। সেক্ষেত্রেও ফায়ার সার্ভিসের টিম যেকোন পরিস্থিতিতে এগিয়ে আসে। যেহেতু বেনাপোল বন্দর দেশের বৃহত্তর স্থল বন্দর এবং এখান থেকে বিপুল পরিমান রাজস্ব আদায় হয়ে থাকে। এছাড়াও প্রতি বছরই যেকোন ধরনের অগ্নিকান্ডের ব্যপক ক্ষয় ক্ষতির আসংখ্যা থাকে এবং ক্ষয় ক্ষতি সংঘটিত হয়। সেক্ষেত্রে বেনাপোল ফায়ার সার্ভিস স্টেশনটি অত্যান্ত আধুনিক মানের ও বিভাগীয় পর্যায়ের অত্যাধুনিক ফায়ার সার্ভিস হতে পারে, সে জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার দরকার সেটা আমরা জেলা পর্যায়ের মিটিংয়ের মাধ্যমে এবং আমাদের উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের জানানোর মাধ্যমে চেষ্টা করব বেনাপোল ফায়ার সার্ভিসটি বিভাগীয় পর্যায়ের অত্যাধুনিক ফায়ার সার্ভিসে পরিনত করার।