

রিপোর্ট : ইমাম বিমান:
ঝালকাঠিতে তেলের জাহাজে অগ্নীকান্ডের ঘটনায় ১৭ জন নাবিকের মধ্যে অগ্নীদগ্ধ হয়ে ১১ জন আহত ও ২ জন নিহত হয়।
এ বিষয় স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, জাহাজটি পেট্রোল ও ডিজেল নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে বুধবার ঝালকাঠিতে আসে। তেলের ডিপো কর্তৃপক্ষ পেট্রোল খালাস করলেও জাহাজে সাড়ে ৮ লাখ লিটার তেল ডিজেল থাকা অবস্থায় সুগন্ধা নদীতে নঙ্গররত অবস্থায় রাকা ছিল। এ বিষয় স্থানীয় সাংবাদিক মোঃ মনির হোসেন জানান, ১২ নভেম্বর শুক্রবার সকাল আনুমিক আটটায় ঝালকাঠির কলেজ খেয়া ঘাট এলাকা থেকে দেখতে পাই সুগন্ধা নদীতে নঙ্গরকরে থাকা জাহাজ থেকে পৌরসভা খেয়া ঘাটের মাঝিরা ট্রলারে ও নৌকাতে লোক নিয়ে কলেজ খেয়া ঘাট নিয়ে আসলে তাদের মাধ্যমে জানতে পারি নোঙ্গর করা তেলের জাহাজে বিস্ফোরন ঘটে আগুন লেগেছে। জানতে পেরে আমি সেখান থেকে ট্রলার নিয়ে জাহাজের নিকট ছুটে যাই। বিষয়টি জেনে আমি ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে ফায়ার সার্ভিস সংবাদ দেই। পরে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আসার পূর্বে অধিকাংশ অগ্নীদগ্ধ নাবিকদের স্থানীয় খেয়াঘাটের মাঝিরা উদ্ধার করে হাসলে পাঠিয়ে দেয়। জাহাজে আগুন লাগার বিষয় পাম্প রুমে গ্যাস বিস্ফোরন হয় বলে স্থানীয়দের মুখে শোনা গেলেও নাবিকরা আহত থাকায় তেলের জাহাজে আগুনের উৎপত্তি সম্পর্কে জানাযায়নি।
এ বিষয় রোগী বহন করা অটো ড্রাইভার আজিম জানান, জাহাজে অগ্নীদগ্ধ হয়ে আহত ১৩ জন নাবিকের মধ্যে ৮ জনকে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্ররেন করা হয় বলে জানাগেছে। এরমধ্যে একজন ঘটনা স্থলেই মৃত্যু বরন করেন, অপরদিকে হাসপাতালে নেয়ার পথে আরেকজন মৃত্যুবরন করে। আরো ৪ জনের অবস্হা আশংকাজনক। নিহত দুজন হলেন, কামরুল ও রিপন । আহত অন্যরা হলেন- রুবেল,শরীফ, রাকিব,বাবু, আশিক, বাবু(২) , মেহেদী, ইমাম ,শহীদ এরা সকলেই জাহাজের নাবিক।
এ বিষয় ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর সাব স্টেশন অফিসার সালাউদ্দীন মিয়ার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, আজ সকাল আনুমানিক ৮ঃ৩৩ মিনিটের সময় আমাদের কাছে ফোন আসে। আমরা তাৎক্ষনিক ভাবে অগ্নীনির্বাপনে ব্যবহারিত সরঞ্জাম নিয়ে সার্ভিসের ২ টি ইউনিট শহরের পৌরসভা খেয়া ঘাটে পৌছে ট্রলার নিয়ে নদীর মধ্যে নোঙ্গররত অবস্থায় রাখা জাহাজে নিকটে যাই এবং প্রায় তিন ঘন্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হই। একই সাথে জাহাজের মধ্যে তল্লাশী করে অগ্নীদগ্ধ হয়ে জাহাজে পড়ে থাকা একজনের ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করি। জাহাজে আগুন লাগার সূত্রপাত সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, এই মুহূর্তে আগুন লাগার বিষয় কিছু বলতে পারছি না, তবে তদন্ত সাপেক্ষে আগুন লাগার সূত্রপাত সম্পর্কে জানতে পারবো। তবে জাহাজে তলা ফেটে যাওয়ায় পানি উঠে শুরু করে। যে কোন সময় সুগন্ধা নদীতে ডুবে যাওয়ার সম্ভবনা থাকায় ফায়ার সাভিসের কর্মীরা পাম্প বসিয়ে জাহাজ থেকে পানি বের করে দিতেও সক্ষম হয়।
এছারাও জাহজে অগ্নীকান্ডের ঘটনা জানতে পেরে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক জোহর আলী ও জেলা পুলিশ সুপার ফাতিহা ইয়াসমিন সহ আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্হলে ছুটে আসেন এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।