

স্টাফ রিপোর্ট :
আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী মোঃ সোহরাব হোসেন পীরের ক্যাম্পে ভাংচুর ও হামলা করেছে স্বতন্ত্র প্রার্থী আনারস মার্কার সোহরাব হোসেন নান্নুর ভাড়াটে গুন্ডাবাহিনী। উক্ত ঘটনায় তিনজন আহত হয়েছে। গত শনিবার সন্ধ্যার দিকে বাংলাবাজারে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- কাদের বেপারীর ছেলে সানাউল্লাহ (৪৫), আফছার উদ্দিন সরদারের ছেলে কাউসার (৫০) ও রব প্রধানের ছেলে রিপন প্রধান (৪৬)। গুরুতর আহত অবস্থায় কাউসার ও রিপন প্রধানকে প্রথমে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। রিপন প্রধানকে হাসপাতালে ভর্তি নেয়া হলেও কাউসারের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে সংকটাপন্ন অবস্থায় ভর্তি আছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ সোহরাব হোসেন নান্নুর লোকজন অলু মিঝি, জসিম, জহির ইসলাম মমিন মিঝি, ইকবাল মিঝি, সুজন মিঝি এর নেতৃত্বে একদল ভাড়াটে সন্ত্রাসী অতর্কিত হামলা চালায় বাংলাবাজারস্থ নৌকা প্রার্থী সোহরাব হোসেন পীরের ক্যাম্পে। এসময় তারা ক্যাম্পের ব্যানার, চেয়ার, টেবিল ও পোষ্টার ছিঁড়ে ফেলে। ক্যাম্পে অবস্থানরত নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের এলোপাথারিভাবে কিল ঘুষি ও লাঠিসোটা দিয়ে আহত করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসলে তারা সটকে পড়ে। বর্তমানে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ভোটারদের মনে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনাস্থলে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও ডিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
ঘটনায় আহত সানাউল্লাহ জানান, সন্ধ্যার দিকে আমরা নৌকা প্রার্থীর ক্যাম্পে অবস্থান করছিলাম। হঠাৎ একদল সন্ত্রাসী আমাদের উপর হামলা চালায়। এসময় তারা ক্যাম্প ভাংচুর করে, পোষ্টার ছিড়ে ফেলে। তাদের হামলায় আমিসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
এ বিষয়ে নৌকা প্রার্থী মোঃ সোহরাব হোসেন পীর জানান, নৌকার ব্যাপক জনসমর্থন দেখে আমার প্রতিপক্ষ আনারস মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী সোহরাব হোসেন নান্নু ঢাকা থেকে ভাড়াটিয়া গুন্ডাবাহিনী ভাড়া করেছে। তার নির্দেশেই ভাড়াটিয়া গুন্ডাবাহিনী আমার এলাকার নিরীহ জনগণ ও কর্মী সমর্থকদের উপর হামলা করে মারধর ও ক্যাম্প ভাংচুর করে। আমি প্রশাসনের কাছে এর উপযুক্ত শাস্তি কামনা করছি।
এ বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ সোহরাব হোসেন নান্নুকে মোবাইলে ফোন দিলে পরে কথা হবে বলে ফোন কেটে দেন।
এ হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিকের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।