

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
পঞ্চসার ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার আঃ ছালামের নির্বাচনের মিছিলে হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় নারীপুরুষসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে ব্যান্ড পার্টির বাঁশিওয়ালা ও ডুলিকেও মারধর করা হয়েছে। ঢুলির ঢোল কেড়ে নিয়েছে প্রতিপক্ষ মেম্বার প্রার্থী জুম্মন সারোয়ার ফুটবল মার্কা প্রার্থীর লোকজন।
সোমবার বিকাল ৩টায় কয়েক হাজার নারী পুরুষ নিয়ে পুরো ৪নং ওয়ার্ডের অলিগলিতে ঘুড়ি মার্কার মিছিল নিয়ে প্রদক্ষিণ করে। এতে ডিঙ্গাভাঙ্গা তেলেরপাম্পের কাছাকাছি গেলে জুম্মনের মিছিল থেকে সালামের মিছিলে হামলা করা হয়। এ সময় জুম্মনের সমর্থকরা চাকু ও বিভিন্ন ধরনের দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে কয়েকজনকে আহত করে। আহতদের মধ্যে রয়েছে মো: সেলিম (৪৮) বাঁশিওয়ালি, নাসিমা (৪০), নার্গিস (৩৫), জীবন (২৩)। আহতরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন মেম্বার আ: ছালাম।
মেম্বার আঃ ছালাম জানান, সরদারপাড়া ঈদগাহ মাঠ থেকে শোডাউন শুরু করি। ছাত্রলীদের জেলা সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ আহম্মেদ পাভেলের নেতৃত্বে জুম্মন মেম্বারসহ সৌরভ (২৪), আলিফ (৩৫), জুম্মন মেম্বার (৩৫), রাসেল (২৬) এরা হামলায় অংশ নেয়। প্রতিপক্ষ ছাত্রলীগের নেতা ফয়েজ আহম্মেদ পাভেলের নেতৃত্বে মেম্বার প্রার্থী জুম্মন আমাদের মিছিলে সদলবলে হামলা করে। হামলায় ৪জন গুরুতর আহত হয়েছে। বিষয়টি পুলিশ প্রশাসন ও এমপি মহোদয়কে জানানো হয়েছে। আদারিয়াতলা কেন্দ্র এখন ছাত্রলীগের আখরা হয়েছে।
মেম্বার পদপ্রার্থী জুম্মন জানান, আমি ৪নং ওয়ার্ডে সরকারপাড়ায় ওয়ার্ড কাউন্সিল করতেছিলাম। আমি মিছিলে হামলা করি নাই। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগের নেতা ফয়েজ আহম্মেদ পাভেল জানান, নৌকার মিছিল নিয়ে যাচ্ছিলাম আমাদের মিছিলে ছালামের মিছিল থেকে হামলা করেছে। যা অভিযোগ করেছে সম্পূর্ণ মিথ্যা।
সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আবু বকর সিদ্দিক জানান, এ বিষয়ে কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।