

মোঃ এনামুল হক গাজীপুর :
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়ন ১নং ওয়ার্ড আবদার উওর ঢালীপাড়া এলাকায় নকশা অনুমোদন ছাড়াই নির্মাণ করা হচ্ছে দুইতলা ভবন।
উপজেলার জৈনাবাজারের পূর্ব উত্তর পাশে এই ভবনের নির্মাণকাজ চলছে। মোঃ সবুজ মিয়া নামের এই ভবন নির্মাণ করছেন। ইতিমধ্যে ভবনের প্রথম তলার ঢালাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় তলার ছাদের কলামের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, ১ম তলায় কক্ষ তৈরির কাজে ব্যস্ত শ্রমিকরা। তাঁদের একজন দৈনিক দুর্জয় বাংলাকে বলেন, প্রায় কিছু দিন পূর্বে থেকেই এই ভবনের নির্মাণকাজ শুরু হয়। প্রতিবেশীদের আপত্তির কারণে মাঝখানে কিছুদিন কাজ বন্ধ রাখা হয়। তবে কয়েকদিন আগে থেকেই আবার আমরা কাজ শুরু করেছি। তিনি আরও জানান, এটি পূর্বে বাংলা ঘর ছিলো। বর্তমানে দ্বিতীয় তলা কাজ চলছে। বাড়ির মালিক গ্রেট বিম থেকে ১০ ইঞ্চি ইটের উপর কলাম তুলে ফেলেছে। পানির টাঙ্গী কাঁচা ৪ টি বেচ করা হয়েছে বলেও জানান। জৈনা বাজারের পূর্ব পাশে আবদার গ্রামে প্রায় ৪ শতাংশ জমির ওপর এই ভবনের নির্মাণকাজ শুরু হয়। এ জন্য কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নেওয়া হয়নি। এই ঝুকিপূর্ণ ভবনের নির্মাণকাজ বন্ধ রাখতে এলাকাবাসী বারণ করলে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করবে বলে ভয়ভীতি দেখান বাড়ির মালিক সবুজ মিয়া।
গ্রামে নিজের ইচ্ছামতো কোনো ভূমিতে বাড়ি নির্মাণ বা অন্য কোনো উন্নয়ন করতে চাইছেন। কিন্তু আগের মতো চাইলেই তা আর পারবেন না। এর জন্য সরকার-নির্ধারিত কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র বা অনুমোদন নিতে হবে। শুধু গ্রামেই নয়, উন্নয়নকাজে দেশের যেকোনো জায়গায় ভূমি ব্যবহার করতে হলে সরকারি কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র লাগবে।
এমন বিধান যুক্ত করে নতুন একটি আইন করছে সরকার। নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা আইন, ২০১৭ নামের আইনের খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম আইনটিকে কঠোর উল্লেখ করে বলেন, এটি লঙ্ঘন করলে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হবে। সারা দেশে ভূমি ব্যবহারে শৃঙ্খলা আনার জন্যই এ আইন করা হয়েছে।
ইউপি সদস্য মোঃ তারেক হাসান বাচ্চু দৈনিক দুর্জয় বাংলাকে বলেন, উপজেলা ইন্জিনিয়ারের কাছ থেকে কোনো ধরনের অনুমোদন না নিয়ে এই ভবনের নির্মাণকাজ শুরু করা হয়েছে। এ জন্য ভবন নির্মাণকারীরা ড্রয়িং বা নকশা দেখাতে পারেননি।
ভবন নির্মাণকারী মোঃ সবুজ মিয়া দৈনিক দুর্জয় বাংলার কাছে দাবি করেন, তাঁদের কাছে নকশা আছে এবং ইন্জিনিয়ার মাসুদের কাছে থেকে ড্রয়িং সম্পন্ন করেছে কিন্তু নকশা দেখাতে পারেননি।
শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তরিকুল ইসলাম বলেন, তথ্য প্রমাণ হাতে পেলে অফিস থেকে লোক পাঠিয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা গ্রহণ করা হবে।