

সোহেল রানা ,নীলফামারী::
“রাষ্ট্র ও সমাজে সুশাসন প্রতিষ্ঠায়, সুদ্ধাচার চর্চার কোন বিকল্প নেই” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নীলফামারীতে শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়নের করনীয় শীর্ষক নাগরিক সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে নাগরিক সংলাপের আয়োজন করেন সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিক। এসময় চ্যানেল আইয়ের জেলা প্রতিনিধি আনারুল আলম প্রধানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী।এছাড়াও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান দীপক চক্রবর্তী, দৈনিক আমাদের অর্থনীতির জেলা প্রতিনিধি স্বপ্না আক্তারসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক/শিক্ষিকা, এনজিও কর্মী ও বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের আদর্শ সমূহে প্রতিফলন, সংবিধানের উল্লেখিত প্রতিশ্রæতি পূরণে সরকার ২০১২সালে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশলপত্র নামে একটি অবশ্যপালনীয় নৈতিকতায় কৌশলগত জাতীয় দলিল বা নীতিমালা প্রণয়ন করে। এ কৌশলপত্রের রূপরেখা হচ্ছে “ সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা” এবং অভিলক্ষ্য হচ্ছে “রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও সমাজে সুশাসন প্রতিষ্ঠা” করা। অর্থাৎ দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে সমষ্টিগত স্বার্থে একটি বৈষম্যহীন,বঞ্চনামুক্ত,গণতান্ত্রিক, মর্যাদাপূর্ণ,দুর্নীতিমুক্ত, সমৃদ্ধ এবং শান্তিপূর্ণ জীবনের আকাক্সক্ষায় রাষ্ট্রীয় ও অরাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানসহ সমাজের সকল স্তরে শুদ্ধাচার তথা সৎ, নৈতিক এবং দায়িত্বশীল আচরণ চর্চা ও প্রতিষ্ঠা করা। তাছাড়া বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী কনভেনশনে অনুস্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে একটি ন্যায়ভিত্তিক,শুদ্ধাচারী সমাজ প্রতিষ্ঠায় সাংবিধানিক চেতনা, দুর্নীতির প্রবণতা বৃদ্ধি রোধে সরকারের অবস্থান, আইনগত প্রশাসনিক পদক্ষেপ, জাতিসংঘ দুর্নীতি বিরোধী সনদ বাস্তবায়ন, নাগরিক সমাজের দাবি, রাজনৈতিক দলগুলোর অঙ্গীকার, সরকারি কর্মকান্ডে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠায় তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার ত্বরান্বিত করার উদ্যোগ ইত্যাদি জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল প্রণনয়ের প্রেক্ষাপট হিসেবে কাজ করেছে। শুদ্ধাচারের বিষয়টি দুর্নীতি প্রতিরোধের ধারণা থেকে এসেছে। প্রচলিত দুর্নীতিবিরোধী সকল আইন-কানুন এবং সংবিধানের মৌলিক নীতিমালার সফল প্রয়োগ ও বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এ কৌশল সততা চর্চার নৈতিক রূপরেখা। ব্যক্তি,পরিবার,রাষ্ট্র এবং সমাজের সকল পর্যায়ে সকল প্রকার দুর্নীতি, অন্যায় আচরণ এবং দুরাচার প্রতিরোধের লক্ষ্যে শুদ্ধাচার তথা সদাচার প্রতিপালনের মাধ্যমে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করাই জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশলপত্রের মূলকথা।