রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:২০ অপরাহ্ন [gtranslate]
Headline
Headline
গাজীপুর মহানগর প্রেসক্লাবের ঈদ পুনর্মিলনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত পটিয়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় যুবদল নেতা আমিনুল ইসলাম আহত, থানায় অভিযোগ শ্রীপুরে হকারলীগের নেতাকর্মীদের কমিশন না দেয়ায় ইজারাদারের উপর হামলা     সাংবাদিক মাহমুদুর রহমানের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ঝিকরগাছায় মানববন্ধন কালিয়ার কাঞ্চনপুরে ভাংচুর, লুটপাট অব্যাহত, কেঁটে নিচ্ছে জমির ধান চৌদ্দগ্রামে মসজিদের ইমাম স্বামী স্ত্রীকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা, আড়াই মাস পর রহস্য উদঘাটন পটিয়ায় বিস্ফোরক মামলায় আ’ লীগ নেতা গ্রেপ্তার পটিয়া পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড এলডিপি’র কমিটি গঠন   শ্যামনগরে ব্যতিক্রমী এক কর্মশালায় পুরুষদের ধারনা, নারীদের অগ্রসরে প্রয়োজন পুরুষদের সহযোগিতা চৌদ্দগ্রামে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে হোটেল তাজমহল ও টাইম স্কয়ারকে জরিমা
কবিতাঃ ধর্ষণ,ধর্ষক ও ধর্ষিতা
/ ১৮৫ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২১, ৭:৪৬ অপরাহ্ন

লেখকঃ
সাংবাদিক সুমাইয়া আক্তার শিখা:

জ্ঞানহীন নির্বোধ দুর্বল জাতি তামাশা দেখছ,?
মনু্ষ্যত্বহীন কলঙ্কিত প্রেতআত্নার
পুরুষের পাপচর্চা কাজের,
ছিঃজাতি ছিঃ?
কোথায় বাস করছো হে বাঙালি জাতি
নিক্ষেপ কর তোমার বিবেকের দৃষ্টি,
ঐ ধর্ষিতার জননীর আহত অন্তরে,
দিবানিশি জ্বলছে তার ছতর মস্তিষ্কে
অসভ্যতার অর্সজ্জ যন্তণার অনল।

অহে জাতি কোন স্বার্থকতায় প্রকাশ্য বলো
আমি বাঙ্গালি আমি গর্বিত জন্মেছি এই বাংলায়,
যে বাঙ্গালির দ্বারা আজ ধর্ষিত হয়,
মানসিক প্রতিবন্ধী, শিশু,তরুণী, বৃদ্ধা
কেউ ছাড় পায় না অত্যাচারীর হিংস্র থাবা থেকে
বাঁচতে পারে না অবুঝ শিশুও।

কতই আশা ছিলো মনের গহীনে,
রাঙাব জীবন হেসে খেলে।
সেই মন গহীনের সুপ্ত স্বপ্ন,
আজ জর্জরিত ক্ষত বিক্ষত রক্তাক্ত।

যৌবনের কঠিন নগ্ন অভিশাপে,
কুলাঙ্গারেরা দৃষ্টি দেয় সপে।
হিংস্রতা আর বাহুবলে,
তারা জয়ী হয় খুব সহজে।

সমাজ তাদের পারে না আটকাতে,
শত দোষ লাঞ্চনা অপবাদ ললাটে।
নরখাদকের মত ঝাপিয়ে তারা,
নষ্ট করে তারা আমাকে।

প্রথম আমি ধর্ষিত হয় সমাজের অন্ধকারে,
সবাই তখন বলে উঠে ঐ মেয়েটা আহারে!
ক্রোধে আমি ফেটে উঠি বদলা নিব আমি ঠিকই।
ছুটে যায় পুলিশ ফাড়ি বলি তাদের ঘটনা খুলি।

তারা খুবই উৎসাহী শুনতে নারীর কিচ্ছা কাহিনী,
আমায় করে জর্জরিত প্রশ্ন বানে অতি নগ্ন।
আমি হই আবার ধর্ষিত সমাজ এই পুরুষ শাসিত,
তাদের আচার অতি নিকৃষ্ট মানবতা বিবর্জিত।

তবুও আমি দমে যায় না,
দেখতে চায় এর শেষ ঠিকানা।
তারা করে কত তামশা,
তবুও আমি রাখি ভরসা।

রুটিন কিছু কাজ সেরে,
আমায় পাঠায় হাসপাতালে।
সেখানেও জমে রঙ্গশালা আমাকে ঘিরে,
তবুও আমি পিছপা নই অধিকার আদায়ে।

কিছু ডাক্তার পুরুষ আমায় করে উলঙ্গ,
তারা দেখতে চায় কি করে পুরুষকে দিয়েছি সঙ্গ।
আমি আবার ধর্ষিত হই পিচাশ এই সমাজে,
পুরুষের এই চক্রে আজ নারীর সম্ভ্রম ধূলোতে।

শেষে পূরণ ডাক্তারের লালসা,
আসলো এগিয়ে মিডিয়াগো অলা।
নানান প্রশ্নে তারা জানতে চায় খুটিনাটি,
যেন তারা লিখতে চায় গোপন বইয়ের চটি।

সত্যিকারের ভালবাসা দেখাতে কেউ চায় না,
সবাই মিলে করে আশা একটু ভাল ব্যবসা।
এই মেয়েটিকে কভার করে ধর্ষণের কথা দাও ফলিয়ে,
মুখোরচক গল্প ফেদে আমজনতাকে দাও ভাসিয়ে।

যে নষ্ট কথা জানত কজনে, তা এখন মুখে মুখে,
আমায় আবার নষ্ট করে সমাজের এই বিবেক জনে।
এইভাবে আমি পদে পদে নষ্ট হই লোকমুখে,
আমায় সবাই ধর্ষন করে সুযোগ করে সময় বুঝে।

তবুও আমি লড়ে যায় সমাজকে আমি দেখাতে চাই,
নারীরাও তো বাঁচতে চায় দাও তোমারা ঠাঁই।
লড়ি আমি আদালতে প্রাণপনে,
সেখানেও আঘাত হানা হয় আমার সম্মানে।

অতিরঞ্জিত কদার্য্য নগ্ন ভাষনে,
তারা আমায় চায় বেকায়দায় ফেলতে।
আমি নারী বলে সেখানে নেই কোন দাম,
পুরুষ গুলো সাধু আর আমি ই করেছি আকাম।

নিজেকে নির্দোষ প্রমাণে আমি চালায় শত প্রচেষ্টা,
আমার মতো সাধারণেরা বুঝে না আইনের মারপ্যাচটা।
শত বাধা পেরিয়ে আমি অবশেষে,
আসি সকলের সামনে বিজয়ী বেশে।

আমি বিজয়ী হয়েছি কাগজে কলমে,
পরাজিত আমি আজ কলঙ্ক লেপনে।
সমাজে নেই আজ আমার নারী মর্যাদা,
আমি সমাজে হয়েগেছি এক নষ্টা বেশ্যা।

বিচার চাইতে গিয়ে আজ আমি বারেবারে ধর্ষিত,
পুরুষের এই সমাজে নারীরা আজ ক্ষতবিক্ষত ।
আমার আজ নেই সমাজে দাড়াবার মত স্থান,
সকলে আমাকে তাচ্ছিল্য করে পায়না কোন সম্মান।

তাই বারংবার ধর্ষিত আমি লোক মুখে,
আমার কপালে সুখ আর নাহি জোটে।
আমাকে নামতে হচ্ছে আজ অন্ধকার গলিতে,
সমাজের বিবেকরা আসে না এখানে আমাকে খুঁজিতে।

আজ আমি নষ্টা কদাকার বেশ্যা মেয়ে,
অপেক্ষায় আছি ধূলোয় মিশে যেতে।
কখন হবে আমার এই নষ্টা জীবনের ইতি,
আমি আছি অপেক্ষায় সেই করুন সমাপ্তির।

আজ কেন বাঙ্গালী চুপ করে আছে,

দেখিতেছে না কি ধর্ষিতা হইতেছে চারি পাশে।

তবে কি শহীদুল্লাহর শকুন আবার উঠেছে জেগে?

বাঙ্গালী নারীর সম্মান নিতেছে কেড়ে।

হইবে না কি এর কোন প্রতিবাদ,

না কি সহিতে হইবে সব চুপ চাপ।

এখন ও যদি হয় ধর্ষণ এ দেশে,

তবে কেন বাঙ্গালী প্রাণ দিলো হেসে।

চেয়ে ছিল তারা জীবণের বিনিময়,

আর যেন এ দেশে ধর্ষণ না হয়।

যদি হয় হরণ এদেশে নারীর সম্মান,

তবে সে শহীদ গনকে হইবে করা অপমান।

হে বাঙ্গালী আবার দাড়াও রুখে.

মারো থু থু ধর্ষকের মুখে।

বাংলার মাটিতে ধর্ষকের দাও মৃত্যুদন্ড,

তবে পাইবে বাঙ্গালী কিছুটা আনন্দ।

এ দেশে যেন না থাকে ধর্ষণ,

সবাই মিলে করিতে হইবে সোনার বাংলা অর্জন।

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Our Like Page
April 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031