

মোঃ রাসেল হুসাইন নড়াইল:
নড়াইলের প্রভাবশালী ভূমিদস্যুদের দস্যুতা চলেছেই। কোন ভাবেই দমন হচ্ছে না। এদের কালো থাবা হতে রেহাই পাচ্ছে না কেউ। সরকারি দলের ছত্র ছায়ায় ভূমি দস্যুরা বহাল তবিয়তে চালিয়ে যাচ্ছে দস্যুতা। অনেক সময় অসাধু সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের সহযোগিতায় জালিয়াতি কাগজপত্র তৈরী করে অন্যের জমি গ্রাস করেছে। জমি জবর দখল করে দেওয়ার জন্য গড়ে তুলেছে একাধিক সন্ত্রাসী লাঠিয়াল বাহিনী। চাহিদা মত টাকা পেলে বীরদর্পে ঝাপিয়ে পড়ে ওই সন্ত্রাসী বাহিনী। সশস্ত্র হামলা চালিয়ে জায়গা জমি জবর দখল করে দিয়ে যাচ্ছে বীর বাহাদুররা। অনেক সময় প্রকাশ্যে পুলিশ পাহারায় এহেন দখল বাজি চলছে।এ পর্যন্ত দখল বাজদের আগ্রাসনে পড়ে অনেক পরিবার সর্বশান্ত হয়েছে। দখল বাজরা নানা কৌশলে চালিয়ে যাচ্ছে দখল বাজি। এ সব দস্যিুদের মধ্যে অন্যতম জুবায়ের হোসেন বিশ্বাস ওরফে দস্যু জুবায়ের ওরফে টাউট জুবায়ের ওরফে ইট ভাটা জুবায়ের ওরফে নদীর মাটি কাট জুবায়ের। কুখ্যাত এই ভূমিদস্যু পেড়লী ইউনিয়নের অসহায় কৃষকদের জমি দখলে মেতে উঠেছে। জানা গেছে, পেড়লী ইউনিয়নের সাধারণ মানুষদের জিম্মি করে তাদের জায়গা জমি দখল করে নিচ্ছে এই জুবায়ের। খড়লিয়া গ্রামের আল- মামুন বলেন, আমার জমিতে জোর পূর্বক বালু ফেলে দখল করার পায়তারা করছে এই জুবায়ের। মাঠে ৪ /৫ বিঘা জমি কিনে নাম মাত্র লিজ নিয়ে এই সব ফসলি জমি কেটে ফেলছে।একই গ্রামের আব্দুল কাদের জানান, আমার ফসলি জমির চার পাশ দিয়ে ঘিরে ফেলেছে এই ভূমিদস্যু জুবায়ের। আমি বাধা দিলে বলে তোমার উৎপাদনের ফসল দেব। পরবর্তীতে আর দেয়নি। আমার জমির মাটি কেটে নিজের ইট ভাটায় দিয়েছে। এ ভাবে অপ্রয়োজনীয় গর্ত খুড়ে জমির মাটি ইট ভাটায় ব্যবহার করছে। এ বিষয়ে কেউ কিছু বলতে গেলে তাকে নানা ভাবে হুমকি ধামকি দেওয়া সহ হয়রানী করা হচ্ছে। কুট কৌশলী ভূমিখেকো জুবায়ের কম দামে কাগজ পত্র বিহীন জমি ক্রয় করছে। এ ভাবে দখলবাজি করে নেওয়া ফসলী জমি গভীর গর্ত করে জমির টপ সয়েল নষ্ট করা হচ্ছে। মাটি কাটার সময় অন্যের জমির আল জড়িয়ে মাটি কেটে নিচ্ছে। এমন ভাবে মাটি কাটছে যাতে তাদের জমি ভেঙ্গে ওই গর্তে চলে যায়। ফলে সল্প মূল্য নিরুপায় হয়ে ওই জমি বিক্রি অথবা লিজ দিতে বাধ্য হয়। দুদকের ভয়ে অনেক জমি তার নিজের নামে রেজিষ্টি ও করে নেয় নি। নাম মাত্র লিজ নিয়ে মাটি কাটা হচ্ছে এ সব ফসলী জমির।
অনুসন্ধানে জানা যায়, জুবায়ের হোসেন বিশ্বাসের একটি ইট ভাটা রয়েছে। ক্ষমতার বলে প্রশাসনকে বৃদ্ধা আঙুল দেখিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে অবৈধ ভাবে চালিয়ে যাচ্ছে তার ইট ভাটা। পরিবেশের ছাড় পত্র ছাড়ায় অবাধে চলছে এই ইট ভাটা। ইট ভাটার সন্নিকটে রয়েছে খড়লিয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়। একই পাশে রয়েছে উত্তর খড়লিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। পরিবেশ অধিদপ্তরকে নগত নারায়নে তুষ্ট করে এই ইট ভাটা বীরদর্পে চালিয়ে যাচ্ছে জুবায়ের। যার কারনে স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা রয়েছে চরম স্বাস্থ্য ঝুকিতে। অপর দিকে নদীর মাটি কেটে তৈরী করছে ইট। প্রতি বছর পলি পড়া এই মাটি কেটে নেওয়ায় অপর প্রান্তে বাড়ছে নদী ভাঙ্গন। নদীর মাটি দখলে ও কমতি নেই এই ইট ভাটা মালিক ভূমিদস্যু জুবায়ের।নদীর পাশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা দখল করে ব্যবহারের ও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে । তার এই সব অপকর্ম কুকর্মের জন্য ইটভাটায় একটি ঘর করা হয়েছে। ওই ঘরে বসে এই সব অপকর্মের নীল নঁকশা করা হয়। সন্ত্রাসী দের নিয়ে ওই ঘরে চলে মাদক সেবন সহ সকল প্রকার কুকর্ম। অনেক ইট ভাটা ভেঙ্গে দিলে ও ভাঙ্গা হয়নি এই অবৈধ ইট ভাটা। কারন এই ইট ভাটা ও ভূমিদস্যুতা পরিচালনা করার জন্য গোনা হয় নগত টাকা আর সুন্দরী রমনী দিয়ে ম্যানেজ করা হয় উর্ধতন অনেক কর্মকর্তা কর্মচারীদের। যানা গেছে, নগত অর্থ, মূল্যবান উপহার , সুন্দরী তরুনী গিফট দিয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করতে তিনি খুবই পারদর্শী।
এ বিষয়ে মোঃ জুবায়ের হোসেন বিশ্বাস বলেন, ইট ভাটায় আমার পরিবেশের ছাড় পত্র ২ বছর নেই। আগে ছিল। জমি দখলের বিষয়ে বলেন আমি করো জমির ক্ষতি করি না।
স্থানীয়রা তার হাত থেকে বাঁচার জন্য প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
“” জুবায়ের হোসেন বিশ্বাসের বিভিন্ন রকম অনিয়ম দূর্নীতির ধারাবাহিক প্রতিবেদনে সাথে থাকুন””””””