

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধিঃ
অজ্ঞাত যুবকের সাথে প্রেম ছিল আফিয়া আক্তার ঋতৃ (১৭) এর। পরিবারের অমতে বিয়েও করেছিল ওই যুবককে। প্রেমিক স্বামীকে নিয়ে ঠাই হয়নি বাবার বাড়ীতে। নিরোপায় হয়ে কেওয়া পশ্চিম খন্ড গ্রামের রতনের বাড়ীতে স্বামীকে নিয়ে ভাড়ায় থাকতেন ঋতু। শনিবার রাত্র ১২ টার দিকে ভাড়া বাসার বাথরুম থেকে গলায় উড়না পোচানো মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঋতুর কথিত স্বামী পলাতক।
ঘটনা ঘটেছে শনিবার (৮ জানুয়ারী) রাত ১২ টার দিকে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর পৌর এলাকার ৭নং ওয়ার্ডের রতন মিয়া বাড়ীতে। নিহত আফিয়া আক্তার ঋতু শ্রীপুর পৌর এলাকার চন্নাপাড়া গ্রামে বকুল হোসেনের মেয়ে। শ্রীপুর থানার পরিদর্শক তদন্ত মাহফুজ ইমতিয়াজ ভূইয়া জানান, নিহত ঋতুর
সাথে ওই যুবকের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরিবারের অমতে গোপনে ঋন ওই যুবককে বিয়ে করে।
ঋতুর পরিবার তাদের গোপন বিয়ে মেনে নেয়নি। বাবার বাড়ীতে ঠাই না পেয়ে ঋতু তাহার স্বামীকে নিয়ে স্থানীয় কেওয়া পশ্চিম খন্ড
গ্রামের রতন মিয়া বাড়ীতে ১০/১৫ দিন যাবত ভাড়া থাকিত। ঋতু ভাড়া বাড়ী থেকে তেমন একটা বেড় হতনা। শনিবার (৮ জানুয়ারী) দিন ভর ঋতুর ঘরের দরজা বাহির থেখে বন্ধ ছিল। দরজা বন্ধ থাকায় সন্দেহ হলে বাড়ীর মালিকের স্ত্রী রাত ১১ টার দিকে ঘরে গিয়ে বাথরুমে গলায় উড়না পেচানো অবস্থায় ঋতুর মরদেহ দেখতে পায়। খবর পেয়ে শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওয়াহিদুজ্জামান রাতেই নিহদের মরদেহ উদ্ধার করেন।
রবিবার (৯ জানুয়ারী) নিহদের মরদেহ ময়না
তদন্তের জন্য গাজীপুরের শহিদ তাজ উদ্দিন আহাম্মদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে ঋতুর স্বামী তাকে হত্যা করে বাথরুমে লাশ ফেলে পালিয়ে গেছে। পরিদর্শক তদন্ত মাহফুজ ইমতিয়াজ ভূইয়া আরো জানান, তাৎক্ষনিক ভাবে নিহমের পরিচয় পাওয়া যাচ্ছিলনা। তার ছবি সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। ফেইসবুকে ছবি দেখে নিহতের স্বজনরা ঋতুর মরদেহ সনাক্ত করলে তার পরিচয় পাওয়া যায়। ঋতুর স্বামী পলাতক অজ্ঞাত যুবকের কোন নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি। পুলিশের একাধীক টিম কাজ করছে। খুব
দ্রুতই তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। এই ঘটনায় মামলা প্রস্তুতি চলছে।