

শ্রীপুর(গাজীপুর)প্রতিনিধিঃ
সুমন (১৮) ভাড়ায় কেথে পোষাক কারখানায় চাকুরী করে। ভিকটিম (১৫) ও বাবার সাথে পাশের বাসায় ভাড়া থেকে স্থানীয় পোষাক কারখানায় চাকুরী করে। সুমন ভিকটিমকে বিভিন্ন সময় প্রেমর প্রস্তাব দিয়ে উত্যক্ত করতো। রবিবার রাত এগারটারদিকে বাসার অদূরের দোকান থেকে বিস্কুট আনতে যায় ভিকটিম। সুমন দূরথেকে ভিকটিমকে দেখতে পায়। বন্ধু আল-আমিনকে (৩০)এর সহায়তায় ভিকটিমকে রাস্তা থেকে তুলে ভাড়া বাসায় নিয়ে যায় সুমন।
দু’বন্ধু মিলে তাকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের আবদার গ্রামের ঢালী পাড়া এলাকায়। ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশ দু’যুবককে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতার কৃতরা হলো নেত্রকোনা জেলার সিংগারগালা এলাকার মৃত গনিমিয়ার ছেলে সুমন (১৮) ও ময়মনসিংহ জেলার ইশ্বরগঞ্জ থানার বক্তগুরা গ্রামের আ.গফুর মিয়ার ছেলে আল আমিন(৩০)। দু’জনেই আবদার গ্রামের ঢালী পাড়ায় ভাড়া থেকে পোষাক কারখানায় চাকুরী করে।
এঘটনায় ভিকটিম বাদী হয়ে সোমবার রতে শ্রীপুর থানায় মামলা করেছে।মামলা ও ভিকিটিমের পারিবারিক সূত্রে জানাযায়, ভিকটিম আবদার গ্রামের ঢালী পাড়ার নূরু মিয়ার বাড়িতে বাবার সাথে ভাড়া থেকে স্থানীয় পোষাক কারখানায় চাকুরী করে। পার্শবর্তী
ভাড়াটিয়া সুমন দীর্ঘ দিন ধরে ভিকটিমকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্যক্ত করতো। সুমনের
প্রস্তাবে রাজি হয়নি সে। এতে সুমন তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। রবিবার (৯জানুয়ারী) রাত এগারটার দিকে ভিকটিম ভাড়া বাসার অদূরের দোকান থেকে বিস্কুট কিনে বাসায় ফিরছিলো। দূর থেকে সুমন তাকে দেখতেপায়।
বন্ধু আল আমিনকে নিয়ে ভিটিমের পথ রোধ করে। তাকে জোড় পূর্বক টানা হেঁচড়া করে সুমনের ভাড়া বাসায় নিয়ে যায়। পরে সুমন ও আল আমিন মিলে তাকে ধর্ষণ করে। ধর্ষকরা ভিকটিমকে ঘটনাটি প্রকাশ না করতে চাপদেয়। এক পর্যায়ে ভিকটিম শ্রীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করলে সোমবার রাতে মামলা রুজু হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজ ইমতিয়াজ ভূইয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ভিকটিমের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাৎক্ষনিক ভাবে দু’ধর্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার রাতে ভিটিমের অভিযোগে মামলা রুজু হয়েছে।