

সেলিম চৌধুরী নিজস্ব সংবাদদাতাঃ-
চট্টগ্রামের পটিয়া পৌরসভার বৈলতলী রোড সংলগ্ন আলম শাহ্ সড়কে হাজী আবদুছ ছাত্তার জামে মসজিদের আওতাধীন এতিমখানা ও হেফজ্খানা নির্মানে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে একটি কিশোর গ্যাং চক্র। ফারজানা আকতার নামের এক মহিলার নিয়ন্ত্রনাধীন কিশোর গ্যাংটি এতিমখানা নির্মানে বাঁধা সৃষ্টি সহ সম্প্রতি এতিমখানার বাউন্ডারী ওয়াল ও ঘর ভাংচুর করেছে। এছাড়া ফারজানা আকতার চট্টগ্রাম সিটির এক প্রভাবশালী ব্যাক্তির আত্মীয় পরিচয় দিয়ে পুলিশ প্রশাসন সহ বিভিন্ন স্তরে প্রভাব খাটিয়ে মসজিদ কমিটির লোকজনকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ১৬ জানুয়ারি ( রবিবার ) পটিয়ায় একটি রেষ্টুরেন্টে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মসজিদ কমিটির লোকজন ও স্থানীয় মুসল্লীরা এ অভিযোগ করেন। লিখিত অভিযোগে মসজিদ কমিটির মোতয়াল্লী হাজী আবুল কালাম জানান, পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের দানশীল ব্যাক্তি প্রবাসী হাজী আবুল বশর এলাকায় মুসল্লীদের নামাজ আদায়ের সুবিধার্থে হাজী আবদুছ ছাত্তার জামে মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেন। এছাড়া গরীব শিশু, কিশোরদের দ্বীনি শিক্ষা প্রদানের জন্য একটি এতিমখানা ও হেফজখানা নির্মাণের উদ্যোগ নেন। স্থানীয় এলাকার মরহুম দুদু মিয়ার তিন পুত্রের প্রাপ্য সম্পত্তি থেকে মাহমুদুর রহমান নামের একপুত্র হতে ২.৪০ শতক জায়গা ক্রয় করেন। এর মধ্যে ভাটিখাইন এলাকার মুছাসহ ৪ জন দুদু মিয়ার দুইপুত্র থেকে এ স্থান থেকে কিছু জায়গা ক্রয় করেন। মুছা দুদু মিয়ার পুত্র মাহামুদুর রহমানের ভূমি সহ সম্পূর্ণ জায়গা দখল করতে চাইলে মসজিদ কমিটি বাঁধা দেয়। এতে মসজিদ কমিটির লোকজন পৌরসভার মেয়রসহ প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করলে এ বিষয়ে পৌর কাউন্সিলর গোফরান রানা, কাউন্সিলর শফিউল আলম , কাউন্সিলর কামাল উদ্দিন বেলাল এবং হুইপের ভাই মজিবুল হক চৌধুরী নবাব ও সাবেক কমিশনার হাসান মুরাদসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ ভূমি পরিমাপ করে উভয় পক্ষের জায়গায় সীমানা প্রাচীর দেন। কিন্তু তা অমান্য করে প্রবাসী মুছার স্ত্রী ফারজানা আকতার তাদের জায়গার পাশে যাতে এতিমখানা না হয় সে উদ্দেশ্যে বিভিন্ন তালবাহানা করে মসজিদ কমিটির লোকজনকে হয়রানি করছে। এর মধ্যে পটিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গত ডিসেম্বর মাসে একটি হয়রানীমূলক সি. আর. ৫৫৯/২১ ইং মামলা দায়ের করেছে। মসজিদ কমিটির লোকজনকে মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে এতিমখানা নিমার্ণে সহযোগিতা করার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবী জানান।