

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি ঃ
গাজীপুরের শ্রীপুর থানায় ধর্ষণ মামলার এক আসামি সিঙ্গাপুরে পালিয়ে যাওয়ার সময় মঙ্গলবার সকালে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে ইমিগ্রেশন পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে। পরে ইমিগ্রেশন পুলিশ যুবক ওই আসামিকে শ্রীপুর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে।
গ্রেপ্তার মোঃ রাব্বি (২৪), গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের নিজ মাওনা গ্রামের শামছুল হকের ছেলে। ধর্ষণের শিকার কিশোরী স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
মামলা সূত্রে এবং কিশোরীর মামা জানান, গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের নিজ মাওনা গ্রামের বাসিন্দা তার কিশোরী ভাগ্নি করোনাকালীন সময়ে বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় বাড়িতে থেকেই লেখাপড়া করতো। ২০২০সালের ২৬ নভেম্বর ভোরে তার মা ভিক্টিম কিশোরী ও ছোট ছেলেকে বাড়িতে রেখে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন স্বামীর কাছে চলে যান। এর তিনদিন পর ৩০নভেম্বর রাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাইরে গেলে আগেই থেকেই ওৎপেতে থাকা প্রতিবেশী রাব্বি, তার মুখ চেপে ধর্ষণ করে। ঘটনাটি কাউকে বললে খুন জখমের হুমকি দিয়ে চলে যায় রাব্বি। তারপরও সে ঘটনাটি স্বজনদের জানায়। কিন্তু স্থানীয় প্রভাবশালী কয়েক ব্যক্তি রাব্বির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে না দিয়ে মীমাংসার জন্য চাপ দেয় এবং কালক্ষেপন করতে থাকে। এ তালবাহানা বুঝতে পেরে কিশোরীর মা বাদী হয়ে শেষে ২০২১ সালের ২৭জানুয়ারি শ্রীপুর থানায় রাব্বির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
শ্রীপুর থানার উপ—পরিদর্শক (এসআই) কামরুল হাসান জানান, মামলা দায়েরের পর অভিযুক্ত রাব্বি গা ঢাকা দেয়। বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়েও তাকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। মামলা তদন্তকালে অভিযুক্ত রাব্বি বিদেশ চলে যাওয়ার পাঁয়তারা করছে জানা গেলে, তার পাসপোর্ট নাম্বারসহ অন্যান্য তথ্য ইমিগ্রেশন পুলিশকে জানানো হয়। মঙ্গলবার সকাল ৭টা ৪৫মিনিটের রাব্বি, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে সিঙ্গাপুর যাওয়ার প্রস্তুতিকালে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। পরে ইমিগ্রেশন পুলিশ শ্রীপুর থানা পুলিশকে বিষয়টি অবগত করলে মঙ্গলবার বিকেলে ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছ থেকে রাব্বি বুঝে নেয়া হয়।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোন্দকার ইমাম হোসেন জানান, সিঙ্গাপুর যাওয়ার সময় ধর্ষণ মামলার আসামী রাব্বিকে ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছ থেকে থানায় আনা হয়েছে। তাকে বুধবার আদালতে পাঠানো হবে।